দক্ষিণ আফ্রিকায় দ্রুত রূপান্তরিত করোনার নতুন ধরন

করোনাভাইরাস
প্রতীকী ছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা করোনার নতুন একটি ধরন নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ধরন খুব দ্রুত রূপান্তরিত হয়। সম্প্রতি কয়েক মাসে এর রূপান্তরের হার বেড়েছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিকেবল ডিজিজ স্থানীয় সময় গতকাল এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।

নতুন এ ধরনটি সি.ওয়ান.টু. নামে পরিচিত। গত সপ্তাহে কাওয়াজুলু-নাতাল রিসার্চ ইনোভেশন অ্যান্ড সিকোয়েন্সিং প্ল্যাটফর্ম এক গবেষণায় নতুন এ ধরনের তথ্য জানান। নতুন ধরনটি নিয়ে আবার পর্যালোচনা চলবে বলে জানানো হয়।

দক্ষিণ আফ্রিকার বেশির ভাগ এলাকায় ডেলটা ধরনের সংক্রমণ ছড়িয়েছে। ভারতে প্রথম করোনার ডেলটা ধরন শনাক্ত হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সি.ওয়ান.টু. ধরন করোনার অন্যান্য ধরনের তুলনায় দ্বিগুণ ও দ্রুত রূপান্তরিত হয়।

দক্ষিণ আফ্রিকার ৯টি প্রদেশে করোনার সি.ওয়ান.টু. ধরন শনাক্ত হয়েছে। চীন, মৌরিতাস, নিউজিল্যান্ড ও ব্রিটেনের বেশির ভাগ জায়গায় এ ধরনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিকেবল ডিজিজের বিজ্ঞানীরা স্থানীয় সময় গতকাল বলেন, সি.ওয়ান.টু. ভাইরাস আরও বেশি ছড়িয়ে পড়বে কি না, তা এখনই অনুমান করা কঠিন। এখন এর সংক্রমণ খুব ধীরগতিতে হচ্ছে।

এনআইসিডির গবেষক পেনি মুরে ভার্চ্যুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই পর্যায়ে অ্যান্টিবডিগুলোর প্রতি সংবেদনশীলতার পরিপ্রেক্ষিতে ভাইরাসটি কীভাবে প্রতিক্রিয়া করবে, তা নিশ্চিতভাবে বলার মতো তথ্য তাঁর কাছে নেই।

পেনি মুরে বলেন, ‘তবে এটা নিশ্চিত যে টিকা আমাদের গুরুতর অসুস্থতা থেকে সুরক্ষা দিতে পারে।’

তবে গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় যেভাবে ডেলটা ও বেটা ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে, এই ধরন ততটা উদ্বেগজনক না–ও হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা।

দক্ষিণ আফ্রিকায় এ পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২৭ লাখ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৮১ হাজার ৮৩০ জনের।