মিসরে সন্তানসম্ভবা নারীর প্রথম মমি
আঠারো শতকের শুরুর দিকে মিসর থেকে পোল্যান্ডে আনা হয়েছিল প্রাচীন একটি মমি। কফিনে লেখা ছিল মমিটি একজন পুরুষ পুরোহিতের। এর মধ্যে অনেক সময় গড়িয়েছে। প্রায় ২০০ বছর পরে এসে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় দেখা গেছে, এটি পুরুষের মমি নয়, এটি একজন সন্তানসম্ভবা নারীর মমি।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রত্নতত্ত্ববিদেরা জানিয়েছেন, সন্তানসম্ভবা নারীর মমির সন্ধান পাওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম। আর্কিওলজিক্যাল সায়েন্স জার্নাল-এ এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাচীন মমিটি ১৮২৬ সালে মিসর থেকে পোল্যান্ডে আনা হয়েছিল। সংরক্ষিত ছিল পোলিশ জাতীয় জাদুঘরে। তবে দীর্ঘদিন এটি পরীক্ষা করা হয়নি।
প্রত্নতত্ত্ববিদ মারজেনা ওজারেক-জিলকে জানান, মমির শারীরিক গঠন, ছোট ছোট হাত-পা, কোঁকড়ানো লম্বা চুল দেখে এটি নিয়ে গবেষকদের আগ্রহ তৈরি হয়। পরে এক্স-রে ও কম্পিউটার টেস্ট করা হয়। গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, এটা আদতে পুরুষের নয়, এক নারীর মমি।
মারজেনা আরও জানান, ওই নারীর বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল। ২৬ থেকে ২৮ সপ্তাহের সন্তান ছিল তাঁর পেটে। এর আগে সন্তানসম্ভবা কোনো নারীর মমির সন্ধান মিলেনি। বিশ্বে এমন মমি এটাই প্রথম।
এত দিন প্রত্নতত্ত্ববিদদের ধারণা ছিল মমিটি একজন পুরোহিতের। যিনি খ্রিষ্টপূর্ব প্রথম শতকের আশপাশে জীবিত ছিলেন। তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় মনে হচ্ছে, এটি আরও পুরোনো। সন্তানসম্ভবা ওই নারীর মৃত্যু ও মমি করার সময় পেটে সন্তান রেখে দেওয়ার কারণ খোঁজার চেষ্টা করছেন গবেষকেরা। এ উদ্যোগ প্রাচীন মিসরের নারীদের প্রসূতিসেবা নিয়ে গবেষণার পথ উন্মুক্ত করবে।