উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর স্থানীয় জেলেরা প্রথম এর ভেতরে ঢুকে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন
ছবি: রয়টার্স

পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ হ্রদে পড়ে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলের শহর বুকোবায় অবতরণের সময় ৪৩ জন আরোহী নিয়ে উড়োজাহাজটি ভিক্টোরিয়া হ্রদে পড়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ২৬ আরোহীকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই পাইলট উড়োজাহাজটির ককপিট থেকে স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তবে প্রধানমন্ত্রী ধারণা করছেন, তাঁরা হয়তো মারা গেছেন। উড়োজাহাজের যাত্রীদের উদ্ধারে তল্লাশি চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মী ও স্থানীয় জেলেরা।

উড়োজাহাজটি তানজানিয়ার সবচেয়ে বড় শহর দার এস সালাম থেকে মাঞ্জা এলাকা হয়ে বুকোবায় আসে। এ সময় সেটি ঝড় ও ভারী বৃষ্টির কবলে পড়ে। তখন বিমানবন্দরে ওই ফ্লাইট আসার অপেক্ষায় ছিলেন আবদুল নূরী নামের এক ব্যক্তি। তিনি উড়োজাহাজটি হ্রদে পড়তে দেখেন। আবদুল নূরী বলেন, ‘আমরা তখন খুবই অবাক হয়েছিলাম। ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে কেউ কেউ কাঁদতে ও চিল্লাতে শুরু করে। উদ্বিগ্ন এসব মানুষের বেশির ভাগ তাঁদের স্বজনদের ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন।’

স্থানীয় যে জেলেরা প্রথম দুর্ঘটনাস্থলে যান, তাঁদের সঙ্গে কথা হয়েছে আবদুল নূরীর। জেলেরা নূরীকে জানান, উড়োজাহাজের বেশির ভাগ অংশ পানিতে ডুবে যায়। এ সময় একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট উড়োজাহাজের পেছনের দরজাটি খুলে দেন। এরপরই তাঁরা ভেতরে ঢুকে জীবিত ব্যক্তিদের উদ্ধারে তল্লাশি শুরু করেন।

দেশটির জরুরি সেবা বিভাগের কর্মীরা দড়ি ব্যবহার করে উড়োজাহাজটি হ্রদের তীরে নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন। এরপরেই উড়োজাহাজটির কিছু অংশ ভেসে উঠতে দেখা যায়।

স্থানীয় সময় শনিবার বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজটি তানজানিয়ার প্রিসিশন এয়ারের। প্রিসিশন এয়ার তানজানিয়ার বৃহত্তম বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা। এতে কেনিয়া এয়ারওয়েজেরও বিনিয়োগ রয়েছে। ১৯৯৩ সাল থেকে কাজ শুরু করা প্রিসিশন এয়ার তানজানিয়ার অভ্যন্তরে ও আঞ্চলিক ফ্লাইট পরিচালনা করে।

উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিদের জন্য শোক প্রকাশ করেছেন তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু। উদ্ধারকর্মীদের তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।