সুদানে যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৫৩ লাখ মানুষ

দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ওপরে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী। খার্তুম নর্থ, সুদান ১ মে ছবি
ফাইল ছবি : রয়টার্স

যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানে গত এপ্রিলের পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটির দুই বাহিনীর যুদ্ধে ৫৩ লাখ মানুষ দেশ ছেড়েছেন অথবা দেশটির অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন বলে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সমন্বয় দপ্তর (ওসিএইচএ) গতকাল শুক্রবার ওসিএইচএ এই তথ্য জানায়।

সুদানে এই যুদ্ধের শুরু গত ১৫ এপ্রিল, দুই বাহিনীর ক্ষমতা দখলের দ্বন্দ্ব থেকে। একদিকে সেনাবাহিনী (এসএএফ), অন্যদিকে আধা সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)। একসময় মিত্র ছিল দুই বাহিনী। ২০২১ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সুদানের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে তারা। কিন্তু আরএসএফকে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে একীভূত করা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে। সুদানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত অন্তত তিন হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং ছয় হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

বিমানে বা জাহাজে—যে যেভাবে পারছে, সুদান থেকে পালাচ্ছে। পোর্ট সুদানে জাহাজে চড়তে মানুষের লম্বা লাইন
ফাইল ছবি: এএফপি

ওসিএইচএর সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, এসএএফ ও আরএসএফে মধ্যকার দ্বন্দ্ব পাঁচ মাস ধরে চলছে। এরই মধ্যে প্রায় ৫৩ লাখ মানুষ তাঁদের ঘরবাড়ি ছেড়ে সুদানের অন্যত্র বা প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশটির ১৮টি রাজ্যের ৩ হাজার ৯২৯টি এলাকা থেকে ৪২ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

আরও পড়ুন

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার বরাত দিয়ে ওসিএইচএ জানায়, ১০ লাখের বেশি মানুষ দেশ ছেড়ে সেন্ট্রাল আফ্রিকার রিপাবলিক, চাদ, মিসর, ইথিওপিয়া ও সাউথ সুদানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘ নেতৃত্বাধীন মানবিক সহায়তা তহবিলের ভান্ডারে দুর্ভাগ্যজনকভাবে অর্থ কমে গেছে। এখন যা আছে, তা প্রয়োজনের মাত্র ৩১ শতাংশ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর জন্য দাতাদের মানবিক সহায়তা বাড়ানো উচিত। এই তহবিল থেকে সুদান ও প্রতিবেশী দেশগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা করা হয়।

আরও পড়ুন