লিবিয়ার দারনায় মেয়রের বাড়ি পোড়াল বিক্ষোভকারীরা

সোমবার রাতে শত শত বিক্ষোভকারী সাহাবা মসজিদ এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন
ছবি: রয়টার্স

লিবিয়ার বন্দরনগরী দারনার মেয়র আবদুলমেনা আল ঘাইথির বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা। গত সপ্তাহের ভয়াবহ বন্যার ঘটনায় যথাযথ পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থতার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব চেয়েছেন তাঁরা।

১২ সেপ্টেম্বর দারনায় ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের প্রভাবে প্রচণ্ড বৃষ্টির পর দুটি বাঁধ ভেঙে যায় এবং সেই বাঁধের পানি প্রচণ্ড বেগে শহরের দিকে ঢুকে পড়ে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বন্যায় প্রায় ৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে, ১০ হাজারের বেশি মানুষ এখনো নিখোঁজ।

আরও পড়ুন

স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করেন, প্রচুর ঝড়বৃষ্টি যে হতে যাচ্ছে, সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ আগেই জানতে পেরেছিল। এরপরও তাঁদের যথেষ্ট রকমে সতর্ক করা হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাঁদের নিরাপদে সরতে না বলে বাড়িতে অবস্থান করতে বলা হয়েছিল। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

গত সোমবার রাতে শত শত বিক্ষোভকারী সাহাবা মসজিদ এলাকায় জড়ো হন। তাঁদের অনেকে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় স্থানীয় সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বরখাস্তের দাবি জানাতে থাকেন। একপর্যায়ে মেয়র আবদুলমেনা আল ঘাইথির বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

বিক্ষোভের পরদিন গতকাল মঙ্গলবার লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় সরকারের এক মন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের সবাইকে দারনা ছাড়াতে বলা হয়েছে। সাংবাদিকেরা উদ্ধারকর্মীদের কাজে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

দারনার পুরো নগর পরিষদকে ইতিমধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে। ইন্টারনেট ও টেলিফোন সুবিধাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

জাতিসংঘ বলেছে, এখন আর তাদের প্রতিনিধিদের দারনায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।

গতকাল জাতিসংঘের ত্রাণসংস্থার (ওচা) কর্মকর্তা নাজওয়া মেক্কি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা এতটুকু নিশ্চিত করতে পারি যে দারনায় আগে থেকে আমাদের যেসব অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল, জরুরি চিকিৎসা দল এবং জাতিসংঘের সহকর্মীরা অবস্থান করছেন; তাঁরা কাজ চালিয়ে যাবেন।’