সুদানে ভূমিধসের পর কাদামাটির নিচ থেকে ১০০ মরদেহ উদ্ধার

সুদানের দারফুর অঞ্চলের প্রত্যন্ত একটি পাহাড়ি গ্রামে ভয়াবহ ভূমিধসের পর উদ্ধারকর্মীরা কাদামাটির নিচ থেকে ১০০টি মরদেহ উদ্ধার করেছে। ওই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণকারী বিদ্রোহী গোষ্ঠী দ্য সুদান লিবারেশন মুভমেন্ট এ তথ্য জানিয়েছে।

জানিয়েছে সুদান লিবারেশন মুভমেন্ট/আর্মির (এসএলএম) আবদুলওয়াহিদ আল-নূর নেতৃত্বাধীন অংশটি জানায়, অতিবর্ষণের কারণে জেবেল মাররা পাহাড়ি এলাকার তারাসিন গ্রামটি ভূমিধসে প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে।

এসএলএমের মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদেলরহমান আল-নাইর বার্তা আদান–প্রদানের অ্যাপের মাধ্যমে এএফপিকে বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) পর্যন্ত ১০০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, সীমিত সম্পদের মধ্যেও উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

বুধবার এসএলএমের প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, স্বেচ্ছাসেবীরা খালি হাতে কাদামাটি ও ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে একটি লাশ বের করছেন।

বিদ্রোহী গোষ্ঠীর প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, গ্রামের এক হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। মাত্র একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছেন।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফান দুজারিক বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পুরো চিত্র এখনো পরিষ্কার নয়। কারণ, দুর্গম এলাকা হওয়ায় সেখানে পৌঁছানো কঠিন।

২০২৩ সালের এপ্রিলে সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে সংঘাত শুরুর পর থেকে হাজার হাজার মানুষ নিহত এবং ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

এসএলএম জেবেল মাররার কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করলেও এই সংঘাতে তেমনভাবে জড়ায়নি। তাই সহিংসতা থেকে বাঁচতে লাখ লাখ মানুষ বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় পালিয়ে এসেছেন। এ অঞ্চলটি উত্তর দারফুরের রাজধানী এল-ফাশেরের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। এল-ফাশের শহরটি এক বছরের বেশি সময় ধরে আধা সামরিক বাহিনীর দখলে রয়েছে। অঞ্চলটি লেবু ও কমলার মতো সাইট্রাস ফল উৎপাদনের জন্য পরিচিত। বর্ষা মৌসুমে এ অঞ্চলে ভূমিধসের ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।