অতিবৃষ্টি–বন্যায় বিপর্যস্ত কেনিয়া, ৭০ জনের মৃত্যু
ভারী বর্ষণ ও বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়া। গত মার্চের মধ্যভাগের পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে অতিবৃষ্টি–বন্যায় অন্তত ৭০ জনের প্রাণ গেছে। দেশটির সরকারের একজন মুখপাত্র একথা জানিয়েছেন।
কেনিয়াসহ পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলো চরম প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এ অবস্থার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দোষ দিচ্ছেন।
গতকাল শুক্রবার এক এক্স বার্তায় কেনিয়া সরকারের মুখপাত্র আইজ্যাক মাউরা বলেন, বৃষ্টি–বন্যায় নিহতের সংখ্যা ৭০ ছুঁয়েছে। চলতি সপ্তাহে রাজধানী নাইরোবিতে টানা বৃষ্টিতে ৩২ জনের প্রাণ গেছে।
এ ছাড়া দেশটির রিফ্ট ভ্যালি অঞ্চলে আরও ১৫ জনের প্রাণ গেছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার কেনিয়ার দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া কমিটি বৈঠক করেছে।
সরকারি প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, কেনিয়ায় বন্যার কারণে ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এছাড়া ২২ জন আহত হয়েছেন এবং আরও ৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
কেনিয়া সরকার ‘জরুরি সাড়া দেওয়ার’ জন্য ২ কোটি ৪৫ লাখ ডলারের তহবিল ছাড় করার চেষ্টা করছে। এ অর্থ দিয়ে অবকাঠামো সংস্কার, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জরুরিভিত্তিতে আবাসন তৈরি করা এবং খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।
দেশটির শিক্ষা বিভাগের মুখ্যসচিব বেলিও কিপসাং জানান, বন্যায় নাইরোবিতে ৬৪টি সরকারি বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজধানীতে অবস্থিত সরকারি বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এটা প্রায় এক–তৃতীয়াংশ।
সরকারের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কেননা, আগামী দিনগুলোতেও কেনিয়াসহ পূর্ব আফ্রিকায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
শুধু কেনিয়া নয়, পাশের দেশ তানজানিয়ায় বন্যা–ভূমিধসে অন্তত ১৫৫ জনের প্রাণ গেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী কাসিম মাজালিওয়া গত বৃহস্পতিবার বলেন, দুর্যোগে ২ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তিনি আরও জানান, বন্যা ও ভূমিধসে বাড়ি, রাস্তাঘাট, সেতু, রেলপথ ও বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিংবা ভেঙে পড়েছে।
মাসখানেকের বর্ষণে বুরুন্ডিতে প্রায় ৯৬ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার ও জাতিসংঘ। সোমলিয়ায় বৃষ্টি–বন্যায় প্রাণ গেছে অন্তত ৪ জনের। দেশজুড়ে আট শর বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এছাড়া উগান্ডায় ঝড়–বৃষ্টিতে দুজন মারা গেছে।