জেদ্দায় আলোচনায় বসছে সুদানে লড়াইরত দুই পক্ষ

খার্তুমের একটি আবাসিক এলাকা
ছবি: এএফপি ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি সরকার বলেছে, আজ শনিবার জেদ্দায় সুদানের সেনাবাহিনী এবং দেশটির আধা সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে সরাসরি বৈঠক শুরু হচ্ছে। শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে তারা। এদিকে শুক্রবার রাতে সুদানের সেনাবাহিনী বলেছে, র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে আলোচনা করতে সৌদি আরবে প্রতিনিধি পাঠিয়েছে তারা।

১৫ এপ্রিল সুদানে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিরতি হয়েছে। তবে এর কোনোটিই পুরোপুরি কার্যকর হতে দেখা যায়নি।

এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব বলেছে, সুদানে লড়াইরত দুই পক্ষ আজ থেকে সরাসরি বৈঠকে অংশ নিচ্ছে।

সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সুদান ও দেশটির জনগণের কথা ভেবে যুদ্ধবিরতি এবং সংঘাত বন্ধের আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য দুই পক্ষের প্রতি সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র আহ্বান জানাচ্ছে।’

বিবৃতিতে এ বৈঠককে ‘আলোচনা–পূর্ববর্তী সংলাপ’ উল্লেখ করে স্বাগত জানানো হয়েছে।
ইতিমধ্যে সৌদি আরবে নিজেদের প্রতিনিধি পাঠানোর তথ্য নিশ্চিত করেছে সুদানের নিয়মিত সেনাবাহিনী। সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান গত বুধবার দক্ষিণ সুদান ঘোষিত সাত দিনের যুদ্ধবিরতির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তবে শুক্রবার ভোরে আধা সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতির মেয়াদ তারা তিন দিন বাড়াচ্ছে।

সুদানে ১৫ এপ্রিল থেকে চলমান সংঘাতের এক পক্ষে রয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। অপর পক্ষে আছেন আরএসএফের প্রধান সাবেক মিলিশিয়া নেতা জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো ওরফে হেমেদতি। এই দুই জেনারেল একত্র হয়ে ২০২১ সালে একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সুদানের ক্ষমতা দখল করেছিলেন। কিন্তু আরএসএফকে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে একীভূত করা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে। আরএসএফকে সামরিক বাহিনীতে একীভূত করার সময়ে কে সামরিক বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ হবেন, তা নিয়ে, অর্থাৎ ক্ষমতার দ্বন্দ্বে তাঁদের মধ্যে লড়াই শুরু হয়।

বিশ্বজুড়ে সংঘাতের তথ্য সংগ্রহকারী সংস্থা আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্টের তথ্যানুযায়ী, এ সংঘাতে এ পর্যন্ত প্রায় ৭০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই খার্তুম ও দারফুর অঞ্চলের বাসিন্দা।