নাইজেরিয়ায় এবার ৮৭ ব্যক্তিকে অপহরণ
নাইজেরিয়ায় নতুন করে অন্তত ৮৭ ব্যক্তিকে অপহরণ করেছে বন্দুকধারীরা। স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকেই নাইজেরিয়ার একটি স্কুল থেকে ২৮৬ জন শিক্ষার্থী-শিক্ষক-কর্মকর্তাকে অপহরণ করে একটি সশস্ত্র গ্যাং।
গতকাল সোমবার নাইজেরিয়ার কর্মকর্তারা বলেন, নতুন হামলাটি হয়েছে কাদুনা রাজ্যের কাজুরু এলাকায়। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে।
নাইজেরিয়ায় অপহরণকারী চক্রগুলো দস্যু বাহিনী হিসেবে পরিচিত। তারা নিয়মিত গ্রামে লুটপাট চালায়। বিশেষ করে নাইজেরিয়ায় উত্তর-পশ্চিম ও উত্তর-মধ্য অঞ্চলে তারা মুক্তিপণের জন্য লোকজনকে গণহারে অপহরণ করে। এসব এলাকায় সহিংসতায় প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানায় জাতিসংঘ।
প্রায় প্রতিদিনকার এসব হামলা বন্ধে দেশটির কর্তৃপক্ষ কার্যত অক্ষম। এ কারণে দেশটির প্রেসিডেন্ট বোলা আহমেদ টিনুবুর ওপর চাপ বাড়ছে।
গতকাল কাদুনা রাজ্য পুলিশের মুখপাত্র মনসুর হাসান বলেন, কাজুরুতে গণ-অপহরণের ঘটনাটি ঘটেছে আগের দিন রোববার রাতে। অপহৃত গ্রামবাসীদের উদ্ধারে নিরাপত্তা এজেন্ট মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় কর্মকর্তা ইব্রাহিম গাজেরে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, বন্দুকধারীরা গ্রামবাসীর বাড়িতে বাড়িতে যায়। অস্ত্রের মুখে তারা লোকজনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, বন্দুকধারীদের পরনে ছিল সেনাবাহিনীর উর্দির মতো দেখতে পোশাক। তারা দূরে মোটরসাইকেল রেখে গ্রামে প্রবেশ করেছিল। তারা আসলে কারা, তা শনাক্ত করা যায়নি।
গ্রামপ্রধান টাঙ্কো ওয়াদা সারকিন বলেন, ৮৭ জন ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যান বন্দুকধারীরা।
সারকিন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, এ নিয়ে পাঁচবার এই দস্যুরা এই গ্রামে হানা দিলেন।
আরুয়া ইয়াউ নামের এক বাসিন্দা বলেন, তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল। কিন্তু পরে তাঁকে ছেড়ে দেয় বন্দুকধারীরা। স্বাস্থ্যগত কারণে তাঁর হাঁটতে সমস্যা হচ্ছিল বলেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
কাছাকাছি ডোগন নোমা এলাকা থেকে গত শনিবার ১৬ ব্যক্তিকে অপহরণ করা হয় বলে জানান দেশটির কর্মকর্তারা।
৭ মার্চ বন্দুকধারীরা কাজুরু থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরের কুরিগা গ্রামের একটি স্কুল থেকে আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী-শিক্ষক-কর্মকর্তাকে অপহরণ করে বন্দুকধারীরা।