আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ‘হস্তক্ষেপ’ চায় না ইথিওপিয়া সরকার

ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ
ছবি : রয়টার্স

ইথিওপিয়া সরকার তার দেশের তাইগ্রে সমস্যা নিয়ে আপাতত আন্তর্জাতিক সহায়তা চায় না। দেশটির প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ দেশটির অভ্যন্তরীণ সমস্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দূরে থাকতে বলছেন। তিনি বলেছেন, তাইগ্রে সমস্যা নিয়ে ইথিওপিয়ার পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন না জানানো পর্যন্ত তারা যেন অপেক্ষারত (স্ট্যান্ডবাই) থাকে।

ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাইগ্রে নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগকে তাঁর দেশ প্রশংসা করে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তবে আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, ইথিওপিয়া তার আইন ও আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা অনুসারে এই পরিস্থিতি সমাধান করতে খুব সক্ষম এবং করতে ইচ্ছুকও।’

আবি আহমেদ বলেন, ইথিওপিয়া দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যেকোনো হস্তক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে অ-হস্তক্ষেপের মৌলিক নীতিগুলোকে সম্মান করার আহ্বান জানাচ্ছে।

ইথিওপীয় সেনাবাহিনী তাইগ্রের রাজধানী মেকলেতে আক্রমণ শুরু করার হুমকির পরে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ নিয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগের মধ্যে এই বিবৃতি এসেছে।

দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) সেনাদের আত্মসমর্পণের জন্য বুধবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে ইথিওপিয়ার তাইগ্রে অঞ্চলের প্রধান রাজনৈতিক দল তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) সঙ্গে সরকারি বাহিনীর লড়াই চলছে।

প্রায় তিন সপ্তাহ হতে চলা ও লড়াইয়ে কয়েক শ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ওই অঞ্চল যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হওয়ায় উভয় পক্ষের দাবি যাচাই করা সম্ভব হয়নি। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে, এই সংঘাত মারাত্মক উত্তেজনার দ্বারপ্রান্তে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহের এ লড়াই কয়েক শ লোক মারা গেছে এবং হাজারো মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, ইথিওপিয়ায় চরম মানবিক সংকট সৃষ্টি হচ্ছে।