ইথিওপিয়ার রাজধানীর দিকে অগ্রসর হতে পারে বিদ্রোহীরা

বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলাকালে নতুন করে সেনা নিয়োগ দিচ্ছে ইথিওপিয়ার সরকার। আদ্দিস আবাবা, ইথিওপিয়া, ২৪ নভেম্বরছবি: এএফপি

ইথিওপিয়ার সরকারি বাহিনী ও তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) মধ্যকার লড়াই তীব্র হচ্ছে। তাইগ্রে বিদ্রোহীরা দেশটির রাজধানী আদ্দিস আবাবার দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

দেশটিতে লড়াই তীব্রতর হওয়ার প্রেক্ষাপটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার তাদের নাগরিকদের ইথিওপিয়া ত্যাগ করতে বলেছে। ইথিওপিয়ায় চলমান সংঘাতের কূটনৈতিক সমাধান ও অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

চলতি সপ্তাহে তাইগ্রে বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তারা ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে ২২০ কিলোমিটার দূরের একটি শহর দখলে নিয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে তাইগ্রে বিদ্রোহীদের রাজধানীর দিকে অগ্রসর হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তাইগ্রে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইরত সরকারি বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রে দেশটির প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ গতকাল বুধবার যোগ দিয়েছেন বলে খবর বেরিয়েছে।
ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ফানা ব্রডকাস্টিং করপোরেটের প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক সেনা কর্মকর্তা আবি আহমেদ এখন যুদ্ধক্ষেত্রে অবস্থান করে তাইগ্রে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

তবে শান্তিতে নোবেলজয়ী আবি আহমেদ এখন ঠিক কোথায় রয়েছেন, তা পরিষ্কার নয়। তাঁর যুদ্ধক্ষেত্রে থাকার কোনো ছবি দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম প্রচার করেনি।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যুদ্ধের বদলে কূটনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর গতকাল বলেছে, ইথিওপিয়ায় চলমান গৃহযুদ্ধের কোনো সামরিক সমাধান নেই।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতারেস গতকাল দ্রুত যুদ্ধ সমাপ্তির আহ্বান জানিয়েছেন।

তাইগ্রে অঞ্চলের টিপিএলএফ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ২০২০ সালের নভেম্বরে সেখানে সেনা পাঠিয়েছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। এই ঘটনার জেরে টিপিএলএফের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর লড়াইয়ের সূত্রপাত হয়।

সেনা পাঠানো প্রসঙ্গে তখন আবি আহমেদ বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় সেনাদের ওপর টিপিএলএফের হামলার জবাব দিতেই তিনি এই পদক্ষেপ নেন।

কিন্তু চলতি বছরের জুন নাগাদ তাইগ্রে বিদ্রোহীরা অঞ্চলটির বেশির ভাগ এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ নেয়। তার মধ্যে তাইগ্রের রাজধানী মেকেলেও আছে। এরপর তাইগ্রে বিদ্রোহীরা আরও অগ্রসর হতে শুরু করে।