ওলে সোয়িঙ্কার লকডাউন কেটেছে উপন্যাস লিখে

নাইজেরিয়ার নোবেল বিজয়ী ঔপন্যাসিক ওলে সোয়িঙ্কা। ২০১৭ সালে প্যারিসে তোলা ছবি
এএফপি ফাইল ছবি

নাইজেরিয়ার নোবেল বিজয়ী ঔপন্যাসিক ওলে সোয়িঙ্কার লকডাউনকাল কেটেছে উপন্যাস লিখে। গত ৫০ বছরের মধ্যে এটি তাঁর প্রথম উপন্যাস। আর এযাবৎ লেখা তৃতীয় উপন্যাস। ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ১৯৮৬ সালে সাহিত্যে নোবেল বিজয়ীর করোনাকালের এই কাজের কথা।  

ওলে সোয়িঙ্কার প্রথম উপন্যাস ‘দ্য ইন্টারপ্রিটার্স’ বেরোয় ১৯৬৫ সালে। এর আট বছর পর ১৯৭৩ সালে দ্বিতীয় উপন্যাস ‘সিজন অব অ্যানমি’ প্রকাশিত হয়। আর সর্বশেষ লেখা উপন্যাস হলো ‘ক্রনিকলস অব দ্য হ্যাপিয়েস্ট পিপল অন আর্থ’। এ বছরের শেষ দিকে বের হবে এ উপন্যাস। নাইজেরিয়ায় এটি প্রকাশ করছে বুকক্রাফট নামের একটি প্রকাশনা সংস্থা।

বুকক্রাফটের প্রকাশক বলেন, এ উপন্যাসে সবকিছুই আছে। আছে বন্ধুত্ব ও বিশ্বাসঘাতকতা, বিশ্বাস ও বিশ্বাসভঙ্গ, আশা ও নিন্দা, খুনোখুনি বা মারামারি। কোনো নাটকীয়তর কমতি নেই। সমকালীন নাইজেরিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ উপন্যাস লেখা হয়েছে।

প্রকাশকের কথা, পাঠক সোয়িঙ্কার কাছে যা চান, তার সবই আছে উপন্যাসে। বর্ণিল নানা চরিত্র, গভীর অন্তর্দৃষ্টি, রসাল মন্তব্য আর আছে মার্জিত ও নির্মেদ ভাষার ব্যবহার।

সোয়িঙ্কা বলেছেন, বিশ্বে চলমান করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দেওয়া লকডাউনের সময় এ উপন্যাস লিখেছেন। সোয়িঙ্কা বলেছেন, লকডাউনের পাঁচ মাস ধরে তিনি এটি লিখেছেন। এ সময়ে নিত্যদিনের রুটিন ছিল ডেস্কে বসা, খাবার টেবিলে বসা কিংবা ঘুমানো। এর বাইরে কোনো কাজ ছিল না। এর মধ্যেই চলেছে উপন্যাস লেখার কাজ।

সোয়িঙ্কা নাইজেরিয়ার বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলনে সব সময় সক্রিয় ছিলেন।

গণমানুষের লড়াইয়ে শামিল হয়েছেন সব সময়। ১৯৬০–এর দশকে রাজনৈতিক আন্দোলনের সময় কারাবাস করতে হয় তাঁকে। কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর তাঁকে দেশ ছাড়তে হয়। ১৯৭৫ সালে তিনি নাইজেরিয়ায় ফিরে আসেন। ১৯৯৪ সালে নাইজেরিয়ার সামরিক শাসক সানি আবাচারের সময় তিনি আবার দেশ ত্যাগ করেন।

এ সময় তাঁর অনুপস্থিতিতে তাঁকে ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়। সোয়িঙ্কা অবশ্য সে সময় যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যাপনায় যুক্ত ছিলেন। ১৯৯৮ সালে আবাচারের মৃত্যুর পর সোয়িঙ্কা দেশে ফেরেন। ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হলে সোয়িঙ্কা তাঁর গ্রিনকার্ড নষ্ট করে ফেলেন।