করোনার সুযোগ নিচ্ছে আলজেরিয়া

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সুযোগ নিয়ে আলজেরিয়ার সরকার স্বাধীনভাবে কাজ করা সাংবাদিকদের ওপর শোধ তুলতে চাইছে। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস এ অভিযোগ তুলে বলেছে, সরকারবিরোধী বিক্ষোভ নিয়ে কাজ করেছেন, এমন সাংবাদিকও তাঁদের মধ্যে রয়েছেন। খবর এএফপির।

আলজেরিয়ার বেসরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে দেওয়া এক বিবৃতিতে পর্যবেক্ষক সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁদের প্রতিনিধি খালেদ দারেনিকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। গত ২৯ মার্চ থেকে খালেদ দারেনিকে আটক রাখা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যকে হুমকিতে ফেলা ও জনসমাগম উসকে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে প্রতি শুক্রবার ‘হিরাক’ বলে পরিচিত সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হয়। এই বিক্ষোভের তথ্য নিয়ে প্রতিবেদন করায় দারেনিকে এর আগেও কয়েকবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরএসএফ বলছে, মহামারির সময় মানুষকে কারাগারে রাখার অর্থ হলো তাঁর জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলা। ওই বিবৃতিতে সাংবাদিক বেল্কাসেম দিজির ও সোফিয়েন মেরাকচিকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

মেরাকচি লেবাননের টিভি চ্যানেল আল-মায়াদিনের প্রতিনিধি। গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের ছবি আল–জাজিরা ও অন্যান্য বিদেশি গণমাধ্যমকে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

দিজিরকে কারাবন্দী করার কারণ জানা যায়নি।

মার্চের শুরুতে বিচারমন্ত্রী বেলকাসেম জেগমাতি বলেন, দিজির ও মেরাকচির বিচারকাজ চলছে। তবে এ নিয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।

আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আবদেলমজিদ তেববুনে গত বুধবার ৫ হাজার ৩৭ জন বন্দীকে ক্ষমা করেছেন। তবে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সমর্থনকারীরা এই ক্ষমা পাননি।

এএফপির তথ্যমতে, আলজেরিয়ায় কোভিড–১৯–এ ৯৮৬ জন আক্রান্ত ও ৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।