ক্যামেরুনে বিদ্যালয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে ছয় শিশু নিহত

ক্যামেরুনের কুমবা শহরের একটি বিদ্যালয়ে বন্দুকধারীদের গুলিতে ছয় শিশু নিহত হয়
ছবি: রয়টার্স

আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুনের একটি বিদ্যালয়ে বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ছয় শিশু নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আটজন। স্থানীয় সময় শনিবার দুপুরে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকা কুমবা শহরে এই ঘটনা ঘটে। দেশটির কর্তৃপক্ষ ও নিহত শিশুদের বাবা-মায়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলাকারীরা মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থলে আসে। বিদ্যালয়ে ঢুকেই তারা নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে। সেসময় বিদ্যালয়টির দ্বিতীয়তলার জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়ে অনেক শিশু আহত হয়।  
তবে ঠিক কারা এই হামলা করেছে সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে চলমান অস্থিরতায় জড়িত কোনো দল এই হামলার সঙ্গে জড়িত কি না সেটাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

রয়টার্সকে দেওয়া এক বক্তব্যে ওই শহরের উপ-নেতা আলি আনৌগৌ বলেন, ‘হামলাকারীরা শিশুদের শ্রেণিকক্ষে পেয়ে গুলি করা শুরু করে।’
ইসাবেল ডিওনের ১২ বছর বয়সী মেয়ে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। হামলার খবর শুনে বিদ্যালয়ে ছুটে আসেন ইসাবেল। এসে দেখেন তাঁর মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে। ইসাবেল রয়টার্সকে বলেন, ‘আমার মেয়ে পুরো অসহায় অবস্থায় পড়ে ছিল। সে চিৎকার করে বলছিল, মা আমাকে সাহায্য কর। আমি তাকে বলেছিলাম, এখন শুধু তোমার সৃষ্টিকর্তাই তোমাকে রক্ষা করতে পারে।’ পরবর্তীতে ইসাবেলের মেয়েকে স্থানীয় এক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে বলে তিনি জানান।

সেখানে অবস্থিত জাতিসংঘের একটি সংস্থার দাবি হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছে। তবে স্থানীয় শিক্ষা কর্মকর্তা আহিম আবানাও ওবাসি ছয় শিশুর নিহতের কথা নিশ্চিত করেন। নিহতদের সবার বয়স ১২ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। এ ছাড়া হামলায় আহত আরও আটজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
সেখানকার স্থানীয় প্রশাসন এই হামলার জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দায়ী করেছেন। যদিও তারা কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি।