গিনিতে দফায় দফায় বিস্ফোরণে নিহত ১৫

ইকুয়েটোরিয়াল গিনিতে দফায় দফায় বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত ও প্রায় ৫০০ জন আহত হয়েছেন।
ছবি: এএফপি

মধ্য আফ্রিকার দেশ ইকুয়েটোরিয়াল গিনিতে দফায় দফায় বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত ও প্রায় ৫০০ জন আহত হয়েছেন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। গিনির প্রধান শহর বাটায় স্থানীয় সময় গতকাল রোববার সেনাবাহিনীর ব্যারাকের কাছে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

বিবিসি ও এএফপির খবরে জানা যায়, গিনির প্রেসিডেন্ট তেওডোরো ওবিয়াং নাগুয়েমা এক বিবৃতিতে জানান, সেনাবাহিনীর ব্যারাকে ডিনামাইটের মজুতে অবহেলার কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর ধোঁয়া ও ধ্বংসস্তূপের ছবি দেখা গেছে।

সরকারি টিভির খবরে দেখা গেছে, মানুষ ধ্বংসস্তূপের মধ্যে জীবিতদের খোঁজ করছেন। ভবনের ধ্বংসস্তূপে বিভিন্ন জিনিস খুঁজছেন।

তেওডোরো ওবিয়াং নাগুয়েমা এক বিবৃতিতে আরও জানান, বিস্ফোরণে বাটার বেশির ভাগ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। তিনি আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ব্যারাকের চারপাশে কৃষকেরা জমিতে আগুন জ্বালিয়েছিলেন। এ কারণেও বিস্ফোরণ হতে পারে।

টুইটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বাটার আঞ্চলিক হাসপাতালে যেতে স্বেচ্ছাসেবী স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি হতাহতদের রক্তদান করার জন্যও আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনটি হাসপাতালে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে আহতদের ভিড় জমেছে।

স্থানীয় এক বাসিন্দা এএফপিকে বলেন, ‘আমরা বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছি। আমরা ধোঁয়া দেখেছি। তবে আমরা জানি না ঠিক কী ঘটেছে।’

ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত অলিভার ব্রোচেনিন এক টুইটে হতাহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি এই হামলার ঘটনা বিপর্যয়কর বলে মন্তব্য করেন।
স্প্যানিশ দূতাবাস গিনিতে সে দেশের জনগণকে ঘরে থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন। ১৯৬৮ সালে গিনি স্বাধীন হয়। এর আগে দেশটি স্পেনের উপনিবেশ ছিল।