জিম্বাবুয়ের নির্বাচনে হাতিয়ার যখন তরমুজ

জিম্বাবুয়েতে নির্বাচনী প্রচারণায় বিরোধী শিবিরে গুরুত্ব পাচ্ছে তরমুজ।

গরমে প্রাণ জুড়িয়ে দিতে অনন্য তরমুজ। এ ফল নিয়েই সুদূর আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়েতে এখন আলোচনা তুঙ্গে। দেশটির আগামী নির্বাচনে বিরোধী দলের কৌশলী হাতিয়ার হয়ে উঠেছে এটি। এর আগে, আফ্রিকায় এমন আলোচনার ঝড় তুলেছিল কমলা। কেনিয়ায় সংবিধান নিয়ে অনুষ্ঠিত গণভোটে সাধারণ মানুষের হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল ফলটি।

বিবিসির খবরে বলা হয়, আগামী ১২ আগস্ট জিম্বাবুয়েতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনী প্রচারণায় বিরোধী শিবিরে গুরুত্ব পাচ্ছে তরমুজ। কেন একটি ফল রাজনৈতিক আলোচনা তৈরি করল? মূলত সবচেয়ে বড় বিরোধী দল ইউনাইটেড পার্টি ফর ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউপিএনডি) প্রতীকের রং লাল, অন্যদিকে তরমুজের ভেতরের অংশও লাল।

তরমুজকে আলোচনায় আনতে শুধু লাল রংই যথেষ্ট নয়। কারণ, এর বাইরের অংশ সবুজ। ক্ষমতাসীন দল প্যাট্রিওটিক ফ্রন্টের (পিএফ) প্রতীকের রং সবুজ। এখানেই রহস্য!

নির্বাচন সামনে রেখে পিএফ ও ইউপিএনডির মধ্যে সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা সামনে এসেছে। ইউপিএনডি বলছে, দলীয় লাল রং নিয়ে তাদের কর্মীরা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে। এ কারণে কর্মীদের ছদ্মবেশ ধারণ করতে সবুজ রং ব্যবহার করতে উৎসাহিত করছে দলটি। বিষয়টি এমন, ভেতরে লাল রং, কিন্তু বাইরে সবুজ, ঠিক যেমন তরমুজ।

২০১১ সালে একই ধরনের কৌশল অবলম্বন করেছিল পিএফ। সেবার ক্ষমতাসীন দল মুভমেন্ট ফর মাল্টিপার্টি ডেমোক্রেসির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তারা অর্থের বিনিময়ে ভোট কিনে নিচ্ছে। যে কারণে পিএফ নিজেদের কর্মীদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছিল, ক্ষমতাসীন দলের অর্থ নিয়ে ভোট যাতে পিএফকেই দেয়।