তাইগ্রে অঞ্চলে সহায়তা দিতে সম্মত জাতিসংঘ ও ইথিওপিয়া

তাইগ্রের সংঘর্ষে অনেক শিশু ঘরছাড়া হয়েছে
ছবি: এএফপি

জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলছেন, জাতিসংঘ ও ইথিওপিয়া দেশটির সংঘাতবিধ্বস্ত তাইগ্রে অঞ্চলে সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে। জাতিসংঘের মুখপাত্র সাভিয়ানো আব্রেইউ বলেছেন, গতকাল বুধবার থেকে একটি মূল্যায়ন মিশন শুরু হয়েছে। তবে ইথিওপীয় সরকার এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

তাইগ্রে অঞ্চলে লাখো মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার ও ওষুধ ফুরিয়ে যেতে শুরু করেছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইথিওপিয়ার ফেডারেল সেনাবাহিনী এবং তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) মধ্যে মাসব্যাপী লড়াইয়ে কয়েক শ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

ইথিওপিয়ার সরকার জানিয়েছে, আঞ্চলিক রাজধানী মেকলে তাদের দখলে এসেছে। টিপিএলএফের সৈন্যরা বলছেন, তাঁরা এখনো শহরের কাছে লড়াই করছেন।

এই সংঘাত কয়েক হাজার মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে এবং সুদানে একদল শরণার্থী পালিয়ে গেছেন।

বিবিসি বলেছে, ইথিওপিয়ার কর্তৃপক্ষ বলছে, টিপিএলএফের অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা কেইরা ইব্রাহিম আত্মসমর্পণ করেছেন। তিনি আঞ্চলিক পার্লামেন্টের সাবেক স্পিকার ছিলেন।

এ বিষয়ে টিপিএলএফ কোনো মন্তব্য করেনি।

জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ বলেছে, এই চুক্তির আওতায় তাইগ্রের সরকার-অধীন অঞ্চলগুলোয় সহায়তা দিতে জাতিসংঘের ‘নির্বিঘ্ন, টেকসই ও সুরক্ষিত’ প্রবেশাধিকার থাকবে।

গত সোমবার ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ ঘোষণা দেন, সেনাবাহিনী এ যুদ্ধে জয় পেয়েছে। তবে টিপিএলএফের রাজনীতিবিদেরা বলেছেন, তাঁরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম নিশ্চিত করেছে, কমপক্ষে তিন হাজার সৈন্যকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

তাইগ্রেতে ফেডারেল সেনাদের কয়েকটি ফাঁড়িতে হামলার জের ধরে গত ৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী আবি টিপিএলএফ মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন।

১৯৯১ সালে টিপিএলএফের নেতৃত্বে ইথিওপিয়া থেকে সামরিক সরকার উৎখাত করা হয়। ২০১৮ সালে আবি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগপর্যন্ত দেশটির রাজনীতিতে নিয়ন্ত্রণ ছিল এই গোষ্ঠীর। তবে এরপর থেকে গোষ্ঠীটির নেতারা অভিযোগ করে আসছেন, আবি তাঁদের এড়িয়ে চলেছেন। দেশের দুর্দশাময় পরিস্থিতির জন্যও আবি সরকারকে অভিযুক্ত করেন তাঁরা। আর তখন থেকেই শুরু আঞ্চলিক নেতৃত্ব ও ফেডারেল সরকারের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন।