তাইগ্রেতে ধর্ষণের ঘটনায় জাতিসংঘের উদ্বেগ

তাইগ্রে থেকে লোকজন পালিয়ে সুদানে আশ্রয় নিচ্ছেন
এএফপি ফাইল ছবি

ইথিওপিয়ার তাইগ্রে অঞ্চলে যৌন সহিংসতার মারাত্মক অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মেকেলে শহরে অনেক বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটতে পারে বলে অভিযোগ পেয়েছে জাতিসংঘ। সহিংস ঘটনায় জড়িত পক্ষগুলোর কাছে এ ধরনের অপরাধের জন্য শূন্য সহনশীলতা নীতি গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

যৌন সহিংসতাবিষয়ক জাতিসংঘের দূত প্রমীলা প্যাটেন বলেছেন, সহিংসতার হুমকিতে নিজ পরিবারের মধ্যেই জোর করে ধর্ষণের ঘটনা ঘটানোর মতো পীড়াদায়ক অভিযোগও রয়েছে।

তাইগ্রের বিদ্রোহীদের সঙ্গে কয়েক সপ্তাহের লড়াই শেষে গত ২৮ নভেম্বর মেকেলে দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী।

জাতিসংঘের দূত জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের বদলেও যৌন সম্পর্ক স্থাপনে অনেক নারীকে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনেক চিকিৎসাকেন্দ্রে জরুরি জন্মনিরোধকের চাহিদা ও যৌন সংসর্গে সৃষ্ট রোগের পরীক্ষা বেড়ে গেছে। সংঘাতময় অঞ্চলে এমনটা ঘটলে তা থেকে যৌন সহিংসতার বিষয়টি জানা যায়।

প্রমীলা প্যাটেন আরও বলেছেন, অনেক শরণার্থীশিবিরেও নারী ও কিশোরীদের ওপর যৌন সহিংসতা ঘটছে বলে খবর মিলছে।

ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ গত ৪ নভেম্বর তাইগ্রের বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে স্থল ও আকাশপথে হামলার নির্দেশ দেন। এক মাসের বেশি লড়াইয়ের পর তিনি তাইগ্রের ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে জয়ী হওয়ার ঘোষণা দেন। তবে তাইগ্রে অঞ্চলের শাসক দল তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) নেতারা লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

১৯৯১ সালে টিপিএলএফের নেতৃত্বে ইথিওপিয়া থেকে সামরিক সরকার উৎখাত করা হয়। ২০১৮ সালে আবি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগপর্যন্ত দেশটির রাজনীতিতে নিয়ন্ত্রণ ছিল এ গোষ্ঠীর।

তবে এরপর থেকে গোষ্ঠীটির নেতারা অভিযোগ করে আসছেন, আবি তাঁদের এড়িয়ে চলেছেন। দেশের দুর্দশাময় পরিস্থিতির জন্যও আবি সরকারকে অভিযুক্ত করেন তাঁরা। আর তখন থেকেই শুরু আঞ্চলিক নেতৃত্ব ও ফেডারেল সরকারের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন।

টিপিএলএফের বিরুদ্ধে গত নভেম্বরে অভিযান শুরু করেছে ইথিওপিয়ার সরকার। সেনাবাহিনী ও টিপিএলএফের মধ্যে লড়াইয়ে কয়েক শ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সংঘাতে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ এবং সুদানে পালিয়ে গেছে একদল শরণার্থী।