তাইগ্রের রাজধানী পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে: আবি আহমেদ

ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ
ছবি: রয়টার্স

ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ বলেছেন, তাঁর বাহিনী তাইগ্রে অঞ্চলের রাজধানী মেকেলের পূর্ণ দখল নিয়েছে। গতকাল শনিবার ইথিওপিয়ার সরকার জানিয়েছিল, তাইগ্রে এলাকায় ‘চূড়ান্ত পদক্ষেপ’ নিতে শুরু করেছে সরকারি বাহিনী।

কয়েক সপ্তাহ ধরে ইথিওপিয়ার একটি বিদ্রোহী দল তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘাত চলছিল। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

টিপিএলএফের প্রধান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, অধিকার রক্ষার আত্মসংকল্প প্রতিরোধ করতে এবং এই আক্রমণকারীদের ঠেকাতে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন তাঁরা।

ইতিমধ্যে এখানে কয়েক শ মানুষ নিহত ও হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

এ মাসের শুরুর দিকে আঞ্চলিক দল টিপিএলএফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেন আবি আহমেদ। তিনি মেকেলেতে ইথিওপিয়ান সেনাদের ওপর টিপিএলএফের হামলার অভিযোগ আনেন। টুইটারে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে আবি আহমেদ বলেছেন, সরকারি সেনাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে মেকেলে এবং অভিযান সমাপ্তের শেষ দিকে চলে এসেছে।

আবি আহমেদ বলেন, টিপিএলএফের হাতে আটক হাজারো সেনাকে মুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া আঞ্চলিক বিমানবন্দর ও অফিস নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে। সাধারণ জনগণের দিকে যথেষ্ট খেয়াল রেখেই এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

শহরটিতে বসবাসকারী পাঁচ লাখের বেশি মানুষ ভয়ের মধ্যে সময় পার করছে।

আবি আহমেদ বলেছেন, ‘সামনে আমাদের জটিল কাজ রয়েছে। যা যা ধ্বংস করা হয়েছে, তা পুনর্নির্মাণ করা হবে। যারা পালিয়ে গেছে, তাদের ফেরত আনা হবে।’

এই সংঘাত নিয়ে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ, তাইগ্রের সব ফোন, মুঠোফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করা হয়েছে।

১৯৯১ সালে টিপিএলএফের নেতৃত্বে ইথিওপিয়া থেকে সামরিক সরকার উৎখাত করা হয়। ২০১৮ সালে আবি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগপর্যন্ত দেশটির রাজনীতিতে নিয়ন্ত্রণ ছিল এই গোষ্ঠীর। তবে এরপর থেকে গোষ্ঠীটির নেতারা অভিযোগ করে আসছেন, আবি তাঁদের এড়িয়ে চলেছেন। দেশের দুর্দশাময় পরিস্থিতির জন্যও আবি সরকারকে অভিযুক্ত করেন তাঁরা। আর তখন থেকেই শুরু আঞ্চলিক নেতৃত্ব ও ফেডারেল সরকারের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন।