তানজানিয়ার ‘বুলডোজার’ আর নেই

তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলি
রয়টার্সের ফা্ইল ছবি

তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলি মারা গেছেন। ৬১ বছর বয়সে গতকাল বুধবার হৃদরোগে তাঁর মৃত্যু হয়। দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর এএফপির।

পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে নানা বিভক্তি জিইয়ে রেখে স্বৈরশাসনের মধ্যে দেশ পরিচালনা করে ও করোনা (কোভিড-১৯) মহামারিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলেন মাগফুলি।

এক দশক ধরে মাগুফুলি হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন। দার এস সালামের একটি হাসপাতালে এ সমস্যার কারণে তিনি মারা গেছেন। ৬ মার্চ স্বল্প সময়ের জন্য প্রথম তাঁকে জাকায়া কিকওয়েট কার্ডিয়াক ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে সেখান থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

জনগণের কাছে ‘বুলডোজার’ হিসেবে বিশেষ পরিচিতি পাওয়া প্রেসিডেন্ট মাগুফুলি তিন সপ্তাহ ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলেন। এতে তিনি অসুস্থ বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। আর বিরোধীদলীয় নেতা দাবি করে বসেন, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

ভাইস প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান বলেন, ‘আমি গভীর দুঃখের সঙ্গে আপনাদের জানাচ্ছি, ১৭ মার্চ সন্ধ্যা ৬টায় আমরা আমাদের সাহসী নেতা, তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট জন পমবে মাগুফুলিকে হারিয়েছি।’

সুলুহু হাসান জানান, এক দশক ধরে মাগুফুলি হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন। দার এস সালামের একটি হাসপাতালে এ সমস্যার কারণে তিনি মারা গেছেন। ৬ মার্চ স্বল্প সময়ের জন্য প্রথম তাঁকে জাকায়া কিকওয়েট কার্ডিয়াক ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে সেখান থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পরে আবারও অসুস্থ বোধ করলে প্রেসিডেন্ট মাগুফুলিকে গত রোববার দার এস সালামের এমিলিও মেজেনা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর মৃত্যুতে ১৪ দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট মাগুফুলির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। শোক জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরও।