নাইজেরিয়ার নারী–শিশুসহ ১০০ জনকে মুক্তি দেওয়া হলো

অপহৃত ১০০ জনকে ছেড়ে দিয়েছে দস্যুরা।
ছবি: সংগৃহীত

নাইজেরিয়ায় অপহরণের পর নারী–শিশুসহ ১০০ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সমঝোতার ভিত্তিতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ বলেছে, অপহরণের ৪২ দিন পর ওই ১০০ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। খবর এএফপির।

নাইজেরিয়ায় এই অপহরণকারীদের ‘দস্যু’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে। এসব দলের কাছে ভারী অস্ত্র থাকে। নাইজেরিয়ার মধ্য ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এমন বেশ কিছু দল রয়েছে। যারা প্রায়ই লুট করে থাকে, গবাদিপশু ধরে নিয়ে যায়। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, নাইজেরিয়ার জামফারা প্রদেশের মানাওয়া গ্রামে গত ৮ জুন তাণ্ডব চালায় দস্যুরা। এ সময় চারজন নিহত হন। এ ছাড়া নারী–শিশুসহ ১০০ জনকে ধরে নিয়ে যায় দস্যুরা। তাদের ধরে নিয়ে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে রাখা হয়েছিল।

নাইজেরিয়ায় এমন ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে ১ হাজারের বেশি মানুষকে অপহরণ করা হয়েছিল। দস্যুরা সাধারণত মুক্তিপণের বিনিময় অপহৃতদের ছেড়ে দেয়। গত ডিসেম্বরেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময়ও এমন ঘটনা ঘটেছিল যে যাদের পরিবার মুক্তিপণ দিতে পারেনি, তাদের মেরে ফেলা হয়েছে।

তবে এবার নাইজেরিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দস্যুরা এবার অপহৃতদের ছেড়ে দিয়েছে কোনো শর্ত ছাড়াই। এর জন্য কোনো অর্থ দিতে হয়নি। কিন্তু দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতায় জড়িত একটি সূত্র বলেছে, ওই অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে না, এই নিশ্চয়তা দেওয়ার পর অপহৃতদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

নাইজেরিয়ার জামফারা, কাতসিনা ও কাদুনা প্রদেশে এসব দস্যুদের অবস্থান। এই প্রদেশগুলোয় বিস্তৃত রুগু বনাঞ্চলে তাদের শিবির রয়েছে। এই দস্যুদের নির্মূলে এর আগে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দেশটির বিমানবাহিনী তাদের শিবিরগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। পাল্টা হামলা হিসেবে বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজও ভূপাতিত করেছে দস্যুরা। এসব এলাকায় সামরিক উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে, তাদের সঙ্গে শান্তি আলোচনাও হয়েছে, কিন্তু কোনো কিছুতে কোনো সমাধান হয়নি। ফলে এখনো সেখানে সংঘর্ষ চলছে। এর আগে সোমবার দস্যুদের গুলিতে ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।