নাইজেরিয়ায় জঙ্গিদের বোমা হামলায় নিহত ৬৫

হামলার পর আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় ঘর-বাড়িতে। ছবি: এএফপি
হামলার পর আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় ঘর-বাড়িতে। ছবি: এএফপি

নাইজেরিয়ার একটি জানাজা অনুষ্ঠানে জঙ্গি সংগঠন বোকো হারামের গুলিবর্ষণে কমপক্ষে ৬৫ জন নিহত হয়েছে। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বর্নো রাজ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আজ সোমবার বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, অঞ্চলটি জুড়ে ইসলামি জঙ্গি সংগঠনগুলোর হামলা বেড়েই চলেছে। দশক ধরে চলতে থাকা এ সহিংসতায় হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে। বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়েছে ২০ লাখের বেশি মানুষ।

আজ সোমবার বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়, অঞ্চলটি জুড়ে ইসলামি জঙ্গি সংগঠনগুলোর হামলা বেড়েই চলেছে। দশক ধরে চলতে থাকা এ সহিংসতায় হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে। বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়েছে ২০ লাখের বেশি মানুষ।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বর্নো রাজ্যের রাজধানী মাইদুগুরির কাছের গ্রামটিতে গত শনিবার বন্দুকধারীদের মোটরসাইকেল ও ভ্যানে পৌঁছাতে দেখেছেন তিনি।

স্থানীয় সরকার কর্মকর্তা মুহাম্মেদ বুলামা বলেন, দুই সপ্তাহ আগে বোকো হারামের ১১ সদস্যকে গ্রামবাসীরা মেরে ফেলে। এর প্রতিশোধ হিসেবেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির সাংবাদিক ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেছেন, নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা লাশ খুঁজে খুঁজে নিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে বাড়িঘর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি এ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।

জঙ্গি সংগঠন বোকো হারাম সরকার হটিয়ে ওই অঞ্চলে ইসলামি রাষ্ট্র তৈরি করতে চায়। তাদের ভাষায়, পশ্চিমা শিক্ষা নিষিদ্ধ এবং পশ্চিমাদের সঙ্গে রাজনৈতিক, সামাজিক বা যেকোনো ধরনের সম্পর্ক রাখা মুসলিমদের জন্য নিষিদ্ধ। এই সংগঠনটি শুধু নাইজেরিয়া নয়, প্রতিবেশী চাদ, নাইজার এবং ক্যামেরুনেও সক্রিয়। স্কুল শিশুদের অপহরণের ক্ষেত্রে সংগঠনটি কুখ্যাত। ২০১৪ সালে বর্নোর চিবক শহরের একটি স্কুল থেকে তিন শয়ের মতো ছাত্রীকে অপহরণ করে তারা বিশ্ব গণমাধ্যমের নজরে আসে। এই রাজ্যে সংগঠনটি সবচেয়ে বেশি সক্রিয়।
২০১৫ সালে বোকো হারাম সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিসের তালিকায় উঠে আসে।