নাইজেরিয়ায় প্রায় ২০০ শিশুকে অপহরণ

নাইজেরিয়ায় ইসলামিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ২০০ শিশুকে অপহরণ করেছে বন্দুকধারীরা।
ছবি: এএফপি

নাইজেরিয়ায় ইসলামিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ২০০ শিশুকে অপহরণ করেছে বন্দুকধারীরা। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সরকার টুইটে জানিয়েছে, ঠিক কতটি শিশুকে অপহরণ করা হয়েছে, সে ব্যাপারে তারা নিশ্চিত নয়। খবর এএফপির।

নাইজেরিয়ার উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক মাসেরও বেশি সময় আগে ২০ জনকে অপহরণ করা হয়। ৪০ দিন পর ১৪ জনকে মুক্ত করা হয়। এর এক দিন পরেই এ ঘটনা ঘটল।

নাইজার পুলিশের মুখপাত্র ওয়াসিউ আবিওদুন বলেছেন, তেজিনা শহরে হামলাকারীরা মোটরসাইকেলে এসে পৌঁছায়। সালিহু টাঙ্কো ইসলামিক স্কুলে তারা গুলিবর্ষণ করে। সেখানকার একজন বাসিন্দা নিহত হন এবং আরও একজন আহত হন। এরপর বন্দুকধারীরা শিশুদের অপহরণ করে নিয়ে যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্কুলের এক কর্মকর্তা জানান, হামলাকারীরা প্রথমে শতাধিক শিশুকে অপহরণ করেছে। পরে বয়সে বেশি ছোট হওয়ায় কয়েকটি শিশুকে আবার ফেরত দিয়ে যায়। তাদের বয়স ৪ থেকে ১২ বছরের মধ্যে।

রাজ্য সরকার বেশ কয়েকটি টুইটে জানিয়েছে, বয়সে বেশি ছোট এবং হাঁটতে পারে না—এ রকম ১১ শিশুকে মুক্ত করে দিয়েছে হামলাকারীরা। গভর্নর সানি বেলো ওই শিশুদের দ্রুত ফিরিয়ে আনতে নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন।

নাইজেরিয়ার কেন্দ্র ও উত্তর–পশ্চিমে গ্রামাঞ্চলে লুটপাট, গবাদিপশু চুরি ও মানুষকে জিম্মি করছে বিভিন্ন সশস্ত্র দল। মুক্তিপণের জন্য অপরাধীরা প্রায়ই এ রকম ঘটনা ঘটাচ্ছে। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ৭৩০ শিক্ষার্থী ও শিশুকে অপহরণ করা হয়েছে।

গত ২০ এপ্রিল নাইজেরিয়ার উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলের গ্রিনফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বন্দুকধারীরা ২০ জনকে অপহরণ করে। স্কুলের একজন কর্মকর্তাকেও হত্যা করা হয়। পরিবার ও সরকারকে মুক্তিপণ দিতে বাধ্য করতে পাঁচ শিক্ষার্থীকে হত্যা করে অপহরণকারীরা।

গত শনিবার ১৪ জনকে মুক্ত করা হয়। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর ও পরিবার বলছে, তাঁদের মুক্তির জন্য ৪ লাখ ৪০ হাজার ডলার জরিমানা দিতে হয়েছে।