পাইলটের ভুলে যা হলো

ভুল জায়াগায় নামা উড়োজাহাজটি
ছবি: এএফপি

এক স্টপেজে না থেমে আরেক স্টপেজে বাস চলে যাওয়ার ঘটনা শোনা যায়। তবে উড়োজাহাজের অবতরণের জায়গা সুনির্দিষ্ট। জরুরি পরিস্থিতি হলে অনেক সময় নির্ধারিত বিমানবন্দর বাদে ভিন্ন বিমানবন্দরে অবতরণের ঘটনা ঘটে বটে। কিন্তু ভুল করে এক বিমানবন্দরের পরিবর্তে অন্য বিমানবন্দরে উড়োজাহাজের অবতরণের ঘটনা বিরল।

সেই বিরল ঘটনাই ঘটেছে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনসের একটি পণ্যবাহী উড়োজাহাজের ক্ষেত্রে। বলা হচ্ছে, পাইলট ‘ভুল করে’ নির্দিষ্ট বিমানবন্দরের বদলে অন্য একটি বিমানবন্দরে অবতরণ করান উড়োজাহাজটি।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ঘটনাটি গতকাল সোমবার সকালের। ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবা থেকে পণ্য নিয়ে ইটি৩৮৯১ কার্গো উড়োজাহাজটি যাচ্ছিল জাম্বিয়ার নাদোলা শহরে। মার্কিন বোয়িং কোম্পানির তৈরি ১৮ বছরের পুরোনো ৭৩৭–৮০০ মডেলের উড়োজাহাজটি আকাশে নির্বিঘ্নে চলছিল। অবতরণের কথা ছিল সাইমন মাওয়ানসা কেপওয়েপ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। বিমানবন্দরটি জাম্বিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় কপারবেল্ট প্রদেশে। তবে পণ্যবাহী উড়োজাহাজটি অবতরণ করে কপারবেল্ট প্রদেশেরই আরেকটি নির্মাণাধীন বিমানবন্দরে। এটি কেপওয়েপ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার বা ৯ মাইল দূরে। ২০২০ সালের মাঝামাঝি এই বিমানবন্দর চালুর কথা ছিল। করোনা মহামারিতে কাজ শেষ হতে দেরি হয়েছে।

ইথিওপিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মিশেক লুঙ্গু জানান, ভুল করে উড়োজাহাজটি ভুল জায়গায় অবতরণ করেছে। এটা পাইলটের ভুল ছিল।

পাইলট যেখানে উড়োজাহাজটি অবতরণ করান, সেটি ভবিষ্যতে কেপওয়েপ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এই কারণে পাইলটের ভুল হয়েছে। তিনি ভুলবশত নির্মাণকাজ শেষ না হওয়া বিমানবন্দরে উড়োজাহাজটি নামিয়ে দেন।

এমনকি অবতরণের আগে ওই পাইলট বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। অবতরণের অনুমতি চেয়েছিলেন। তাঁকে অবতরণের অনুমতিও দেওয়া হয়েছিল। তবে রাডারে উড়োজাহাজটির অবস্থান দেখতে না পাওয়ায় নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ‘আমরা আপনাকে দেখতে পাচ্ছি না।’ পাইলট যখন এই বার্তা পান, তখন অবতরণের আগমুহূর্ত ছিল। তাই না নেমে আর উপায় ছিল না।

আদতে ওই পাইলট যোগাযোগ করেছিলেন ৯ মাইল দূরের কেপওয়েপ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে। কিন্তু ভুল করে ভুল জায়গায় অবতরণ করেন।