‘ওমিক্রন’ শনাক্ত, ‘বলির পাঁঠা’ হওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষোভ

ফাইল ছবি

করোনার নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ শনাক্ত হওয়ায় বিভিন্ন দেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে চটেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তড়িঘড়ি করে একের পর এক দেশের কঠোর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাকে ‘অন্যায্য’ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের বিরোধী বলে আখ্যায়িত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর এএফপির।

গতকাল শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জো ফালা। কিছু নেতা ‘বলির পাঁঠা’ খুঁজছিল বলে অভিযোগও তুলেছেন তিনি। তবে জো ফালা কারও নাম নেননি। নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে হচ্ছে কিছু কিছু প্রতিক্রিয়া একেবারে অযৌক্তিক।’

জো ফালা বলেন, ‘ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ভুল পদক্ষেপ। এ নিষেধাজ্ঞা মানুষকে ভুল ইঙ্গিত দেবে এবং তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিধি ও মানদণ্ডের পরিপন্থী।’ তিনি এ সময় আরও বলেন, ‘আমাদের মনে হচ্ছে কিছু দেশের নেতৃত্ব বিশ্বব্যাপী এ সমস্যা মোকাবিলার জন্য কোনো বলির পাঁঠা খুঁজছে।’

গত মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন একটি ধরন শনাক্ত হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও বসতোয়ানা, ইসরায়েল, হংকং ও বেলজিয়ামে নতুন এ ধরনটির সন্ধান মিলেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপ ও আরব দেশগুলো দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর ভ্রমণ বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন ধরনের নাম দিয়েছে ‘ওমিক্রন’। ধরনটিকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে আখ্যায়িত করে সংস্থাটি জানিয়েছে, নতুন এ ধরনটি নিয়ে এখন পর্যন্ত আমাদের হাতে আসা নানা প্রমাণ করোনা মহামারি ক্ষতিকর দিকে মোড় নেওয়ার আভাস দিচ্ছে।

ইউরোপের ২৭টি দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ইতিমধ্যে সাময়িকভাবে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের কিছু দেশে ফ্লাইট নিষিদ্ধ করেছে। জোটের নির্বাহী বিভাগ ইউরোপীয়ান কমিশন করোনার নতুন ধরনের ঝুঁকি সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু না জানা পর্যন্ত অঞ্চলটির দেশগুলোর সঙ্গে স্থায়ী ফ্লাইট নিষিদ্ধের প্রস্তাব করেছে।

তবে করোনার নতুন ধরন নিয়ে উদ্বেগ থেকে এখনই তড়িঘড়ি ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। নতুন ধরনটির সংক্রমণের ক্ষমতা এবং শারীরিক জটিলতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে সম্ভাব্য পরিবর্তন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে আরও কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।