ভূমধ্যসাগর থেকে সপ্তাহান্তে সাত শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশী উদ্ধার

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধার করা হচ্ছে। ভূমধ্যসাগর, ১ আগস্ট।
ছবি: সি-ওয়াচের টুইটার থেকে নেওয়া

ভূমধ্যসাগর থেকে গত সপ্তাহান্তে সাত শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে। একটি সাহায্য সংস্থার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীদের উদ্ধারে কাজ করা সংস্থা এসওএস মেডিটেরেনি বলেছে, মূলত লিবিয়া ও মালটার উপকূল থেকে ওই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধার করা হয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ওই অভিবাসনপ্রত্যাশীরা কাঠের তৈরি নৌকায় করে সাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। নৌকা অতিরিক্ত আরোহীতে বোঝাই ছিল।

এমন এক সময়ে এই অভিবাসনপ্রত্যাশীরা উদ্ধার হলেন, যখন জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা তাঁদের (অভিবাসনপ্রত্যাশী) দায়িত্ব শুধু ভূমধ্যসাগর পাড়ের দেশগুলোর ওপর না চাপিয়ে অন্যদেরও নিতে বারবার তাগিদ দিচ্ছে।

এসওএস মেডিটেরেনি বলেছে, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধারে গত শনিবার থেকে তাদের উদ্ধারকারী জাহাজ ওশান ভাইকিং আন্তর্জাতিক জলসীমায় ছয়টি আলাদা আলাদা অভিযান পরিচালনা করেছে।

ফ্রান্সের মার্সেইভিত্তিক এ সংস্থার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, তারা জার্মানির সংস্থা সি-ওয়াচের কাছ থেকে সতর্কবার্তা পেয়েছিল। তারপর মালটার উপকূল থেকে তারা ১০৬ জনকে উদ্ধার করে। যাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে কমবয়সী শিশুটির বয়স তিন মাস।

এসওএস মেডিটেরেনি জানায়, গত শনিবার রাত থেকে রোববার রাত পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলে। এই কাজে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন সি-ওয়াচ ও রেসকিউশিপের উদ্ধারকর্মীরা। এই তিন সংস্থা মিলে মধ্য ভূমধ্যসাগর থেকে ৪০০ জনকে উদ্ধার করে। এই ৪০০ জনকে যখন উদ্ধার করা হচ্ছিল, তখন তাঁদের বহনকারী নৌকাটি তলিয়ে যাচ্ছিল। এই অভিযানকে বিপজ্জনক হিসেবে আখ্যা দিয়েছে সংস্থাটি।

ওই নৌকা থেকে উদ্ধার করা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ওশান ভাইকিং ও সি-ওয়াচ-৩ নামের জাহাজে নেওয়া হয়।

গত সপ্তাহান্তে ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে ৫৫৫ জনকে ওশান ভাইকিংয়ে জাহাজে তুলা হয়। তাঁদের মধ্যে ২ জন অন্তঃসত্ত্বাসহ অন্তত ২৮ জন নারী রয়েছেন।

এসওএস মেডিটেরেনি জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কোন বন্দরে নেওয়া হবে, তা তারা এখনো ঠিক করেনি।

মূলত, লিবিয়া থেকে হাজারো অভিবাসনপ্রত্যাশী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করে আসছেন। অধিকাংশ অভিবাসনপ্রত্যাশী মূলত ইতালির উপকূলে যাওয়ার চেষ্টা করে আসছেন। এমন বিপজ্জনক যাত্রায় অনেকেই ভূমধ্যসাগরে প্রাণ হারিয়েছেন।