ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবি, ৪৩ জনের মৃত্যু

ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাচ্ছে শরণার্থীবোঝাই নৌকা
রয়টার্সের ফাইল ছবি

ভূমধ্যসাগরে লিবিয়া উপকূলে গত মঙ্গলবার অভিবাসীবাহী নৌকা ডুবে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ১০ জনকে। এই অভিবাসীরা পশ্চিম আফ্রিকার দেশ থেকে এসেছিলেন। গতকাল বুধবার আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম ও জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে। খবর সিএনএনের।

মধ্য ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে বিভিন্ন দেশে অভিবাসী হয়ে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টাকালে গত বছর কয়েক শ মানুষ প্রাণ হারান। আইওএম ও ইউএনএইচসিআরের আশঙ্কা, বিভিন্ন দেশে অভিবাসীদের পাড়ি জমাতে ব্যবহৃত অবৈধ পথের ওপর নজরদারি তেমন নেই। এ অবস্থায় গত বছর ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে যত অভিবাসী মারা গেছেন, তাঁদের সংখ্যা প্রকৃতপক্ষে আরও বেশি।

ইউএনএইচসিআর বলেছে, অভিবাসীবাহী নৌকাডুবির এই ঘটনা এ বছর এটিই প্রথম। সংস্থাটি বলেছে, লিবিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জাওইয়া শহর থেকে মঙ্গলবার সকালে অভিবাসীদের নিয়ে যাত্রা শুরু করে নৌকাটি। কয়েক ঘণ্টা পর খারাপ আবহাওয়ার কবলে পড়ে নৌকাটি। এ সময় এটির ইঞ্জিন অচল হয়ে যায়। পরে ডুবে যায় সেটি।

সংস্থাটি আরও বলেছে, এ ঘটনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিরা সবাই পশ্চিম আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিক। যাঁরা জীবিত উদ্ধার হয়েছেন, তাঁরা মূলত আইভরি কোস্ট, নাইজেরিয়া, ঘানা ও গাম্বিয়ার বাসিন্দা।

শরণার্থী সংস্থার বিবৃতিতে বলা হয়, মধ্য ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে বিভিন্ন দেশে অভিবাসী হয়ে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টাকালে গত বছর কয়েক শ মানুষ প্রাণ হারান। আইওএম ও ইউএনএইচসিআরের আশঙ্কা, বিভিন্ন দেশে অভিবাসীদের পাড়ি জমাতে ব্যবহৃত অবৈধ পথের ওপর নজরদারি তেমন নেই। এ অবস্থায় গত বছর ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে যত অভিবাসী মারা গেছেন, তাঁদের সংখ্যা প্রকৃতপক্ষে আরও বেশি।