মানব পাচারকারীর হাত থেকে ১৫৬ অভিবাসী উদ্ধার

লিবিয়ায় মানব পাচারকারীদের বন্দিশালা থেকে অন্তত ১৫৬ অভিবাসী উদ্ধার হন
ছবি: কুফরা নিরাপত্তা বিভাগের ফেসবুক

মানব পাচারকারীদের হাত থেকে অন্তত ১৫৬ আফ্রিকান অভিবাসীকে উদ্ধার করেছেন লিবিয়ার নিরাপত্তা বিভাগের সদস্যরা। তাঁদের কুফরা শহরের একটি বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছিল। এ অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছয় ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশটির পুলিশ স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুফরা শহরের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এসব অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়। তাঁদের মধ্যে ১৫ নারী ও ৫ শিশু রয়েছে। তাঁরা সবাই সোমালিয়া, ইরিত্রিয়া ও সুদানের নাগরিক।

কুফরার নিরাপত্তা ব্যুরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই বন্দিশালা থেকে একজন পালিয়ে গিয়ে কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানালে ১৬ ফেব্রুয়ারি এ অভিযান চালানো হয়। ওই ব্যক্তি জানান, সেখানে অভিবাসীপ্রত্যাশীদের আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে।
গত রোববার নিরাপত্তা বাহিনী ছয় মানব পাচারকারীকে আটক করে তদন্তের স্বার্থে কৌঁসুলিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের খাদ্য, বস্ত্র ও কম্বল দেওয়া হয়েছে।

লিবিয়ায় মানব পাচারকারীদের বন্দিশালা থেকে উদ্ধার হওয়া ১৫৬ আফ্রিকান অভিবাসীর মধ্যে ১৫ নারী ও ৫ শিশু রয়েছে
ছবি: কুফরা নিরাপত্তা বিভাগের ফেসবুক

যুদ্ধ ও দারিদ্র্যের হাত থেকে বাঁচতে আফ্রিকা ও আরবের উদ্বাস্তু এবং অভিবাসীরা ইউরোপে যেতে লিবিয়াকে ব্যবহার করে থাকেন। এ জন্য সাধারণত তাঁরা মানব পাচারকারীদের দ্বারস্থ হন। মানব পাচারকারীরা এই অভিবাসীদের পাচারে ভূমধ্যসাগরের বিপৎসংকুল পথ ব্যবহার করে থাকে। অভিবাসীদের পাচারে তারা সাধারণত রাবারের ছোট নৌকা ব্যবহার করে, সেখানে যাত্রীদের জন্য তেমন নিরাপত্তা সরঞ্জামও থাকে না। আবার অনেক পাচারকারী চক্র অভিবাসীদের জিম্মি করে অর্থ আদায় করে। প্রায়ই ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে অভিবাসীদের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে থাকে।

দীর্ঘদিনের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির নিহত হওয়ার মধ্য দিয়ে ২০১১ সাল থেকে টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে লিবিয়া নিজেও। দেশটিতে দুটি ‘সরকার’ বিদ্যমান রয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী ত্রিপোলিভিত্তিক ক্ষমতায় রয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সরকার। আর দেশটির পূর্বাঞ্চলে ক্ষমতায় আছে বিদ্রোহীরা।