মালিতে বিয়ের অনুষ্ঠানে হামলার কথা অস্বীকার ফ্রান্সের

ফ্রান্স সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান।
ছবি: রয়টার্স

মালির প্রত্যন্ত একটি এলাকায় বিয়ের অনুষ্ঠানে হামলা চালায়নি বলে দাবি করেছে ফ্রান্সের সেনাবাহিনী। তারা বলছে, মালিতে জঙ্গিদের ওপর তারা অভিযান চালিয়েছে। তবে বিয়ের কোনো অনুষ্ঠানে হামলা চালায়নি।

বিবিসির আজ বুধবারের খবরে জানা যায়, গত রোববার বিয়ের ওই অনুষ্ঠানে চালানো হামলায় ২০ জনের বেশি নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। দেশটির মপতি অঞ্চলের বাউন্টি গ্রামের বাসিন্দারা বলছে, হেলিকপ্টার থেকে ওই অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে গুলি চালানো হয়।

মালিতে সম্প্রতি হামলায় ফ্রান্সের পাঁচজন সেনা নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ফ্রান্সের সেনাবাহিনী বলেছে, অনেক তল্লাশির পরে মপতি অঞ্চলের বাউন্টি গ্রামে তারা অভিযান চালায়। অভিযানের অংশ হিসেবে বিমান হামলাও চালানো হয়। এতে ওই এলাকায় বেশ কয়েকজন জঙ্গি নিহত হয়।

ফ্রান্সের সেনাবাহিনীর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মুখপাত্র এএফপিকে জানান, ওই সেনা অভিযানে বিয়ের কোনো অনুষ্ঠানে হামলা চালানো হয়নি।

বাউন্টির গ্রামবাসীরা বলছে, ধীরগতিতে একটি হেলিকপ্টার এসে দিনের আলোয় হামলা চালায়।

হামলায় আহত আহমাদু ঘানা এএফপিকে বলেন, তাঁর দুই ভাই ওই হামলায় নিহত হয়েছেন।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় বলছে, গত শনিবার মালির পূর্বাঞ্চলের মেনাকা এলাকায় ফ্রান্সের সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে বিস্ফোরক দিয়ে হামলার ঘটনায় দুই সেনা নিহত হয়। প্রায় একই ধরনের হামলায় কদিন আগে ফ্রান্সের তিনজন সেনা নিহত হয়। আল–কায়েদা দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গ্রুপ টু সাপোর্ট ইসলাম অ্যান্ড মুসলিমসের (জিএসআইএম) জঙ্গিরা এই হামলার দায় নিয়েছে।

সাহেল অঞ্চলে ফ্রান্সের ৫ হাজার ১০০ সেনা রয়েছে। আফ্রিকায় জঙ্গিদের সঙ্গে বেশ কয়েক বছর ধরে তাদের সংঘর্ষ চলছে। মালি, চাদ, নাইজার, বুরকিনা ফাসো ও মৌরিতানিয়ায় ২০১৩ সালে প্রথম অভিযান চালায় ফ্রান্সের সেনাবাহিনী।