লিবিয়া উপকূলে শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যুর আশঙ্কা

উদ্ধার অভিযান পরিচালনার সময় রাবারের তৈরি নৌকাটি ভূমধ্যসাগরে ভাসতে দেখা যায়। ২২ এপ্রিল, লিবিয়া উপকূল
ছবি: রয়টার্স

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে লিবিয়ার উপকূলে একটি নৌকা উল্টে গেছে। এতে সাগরে ডুবে এক শর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করছে ইউরোপীয় মানবাধিকার সংগঠন এসওএস মেডিটেরিয়ানে। উদ্ধার করা হয়েছে ১০টি মরদেহ।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার ভূমধ্যসাগরে লিবিয়ার জলসীমায় প্রবল স্রোতের কারণে রাবারের তৈরি নৌকাটি উল্টে যায় বলে জানিয়েছে এসওএস মেডিটেরিয়ানে। এ সময় তাতে ১৩০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিলেন। তাঁদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার (আইওএম) চিফ অব স্টাফ ইজেনিও আমব্রোসি বলেন, ভূমধ্যসাগরে এ দুর্ঘটনায় অন্তত ১০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। টুইট বার্তায় তিনি বলেন, এ দুর্ঘটনা মানুষের তৈরি নীতির ফল। এসব নীতি আন্তর্জাতিক আইন ও মৌলিক মানবিক বিষয়াবলি পরিপালনে ব্যর্থ।

এসওএস মেডিটেরিয়ানের নৌযান ওশান ভাইকিং ও আরও তিনটি বাণিজ্যিক নৌযান উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে। উদ্ধার অভিযানের সমন্বয়ক লুইসা আলবেরা বলেন, ‘দুর্ঘটনাস্থলে আসার পর আমরা অন্তত ১০টি মরদেহ উদ্ধার করেছি। তবে জীবিত কাউকে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, নৌকায় থাকা সবাই মারা গেছেন।’

লিবিয়া উপকূল থেকে ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইউরোপের দেশগুলোয় যেতে চান অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। এ জন্য নৌকায় গাদাগাদি করে ভূমধ্যসাগর পর হন তাঁরা। বিভিন্ন সময় নৌকা ডুবে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।

২০১৪ সাল থেকে এ পথে ইউরোপে যেতে গিয়ে ২০ হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরেই মারা গেছেন অন্তত ৩৫০ অভিবাসনপ্রত্যাশী। ভূমধ্যসাগরের এ জলপথকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য ‘বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক পথ’ বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।