সীমান্তে দীর্ঘ সারি, ১৫ জনের মৃত্যু

জিম্বাবুয়ে-দক্ষিণ আফ্রিকার বিটব্রিজ সীমান্তে ক্লান্তি ও অসুস্থতায় গত কয়েক সপ্তাহে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছেফাইল ছবি: রয়টার্স

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) উপসর্গ পরীক্ষায় ধীরগতির কারণে জিম্বাবুয়ে-দক্ষিণ আফ্রিকার সীমান্তে ক্লান্তি ও অসুস্থতায় কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ধীরগতির কারণে সীমান্ত পাড়ি দিতে যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। আফ্রিকার টিভি চ্যানেল ইএনসিএ গতকাল শুক্রবার জানিয়েছে, সীমান্তে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, সীমান্ত পারাপারের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। কোনো কোনো সময় তা কয়েক দিন পর্যন্ত সময় লাগছে। সীমান্তে যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা না থাকায় ক্লান্তি ও অসুস্থতার কারণে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। তবে এ বিষয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে কোনো মন্তব্য করেনি দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ বিভাগ।

রয়টার্স বলছে, স্থানীয় গণমাধ্যমে দেখানো ছবি ও ভিডিওর পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে বিটব্রিজ সীমান্তে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। এসব গাড়ির বেশির ভাগই ট্রাক, যা অপ্রশস্ত সড়কে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।

রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের এই সীমান্ত পথটি বছরের অন্য সময়ের চেয়ে এ মৌসুমে বেশি ব্যস্ত থাকে। এই সময়টাতে জিম্বাবুয়ের অভিবাসীরা সাধারণত সীমান্ত পাড়ি দিয়ে দেশে ফেরেন।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৫ লাখের বেশি জিম্বাবুয়ের অভিবাসী রয়েছে। বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার কর্তৃপক্ষ সন্দেহ করছে, সেখানে করোনার নতুন ধরনের (স্ট্রেইন) কারণে দেশটিতে সংক্রমণের মাত্রা বেড়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে।

সীমান্তে দেরি প্রসঙ্গে ইএনসিএকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক স্যান্ডিলে বুথেলেজি বলেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বের হওয়ার সময় কারও করোনা পরীক্ষা করা হবে না। তবে আবার দেশে ঢুকতে হলে এক মাসের মধ্যে করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ থাকার প্রমাণ দিতে হবে।’ বুথেলেজি বলেন, রাস্তায় যানজট সৃষ্টির মূলে রয়েছে বহির্গমনকারী ট্রাকগুলো। যখন কেউ দেশের বাইরে যাবে, তাদের আর পরীক্ষার প্রয়োজন পড়বে না।