সোমালিয়া থেকে সৈন্য সরাবে যুক্তরাষ্ট্র

সোমালির পুলিশ কর্মকর্তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে গাড়ি উদ্ধার করছেন
ছবি : রয়টার্স

আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সোমালিয়া থেকে প্রায় ৭০০ সৈন্য সরিয়ে নেবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রায় সব আমেরিকান সেনাকে সোমালিয়া থেকে সরে আসার নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা ছাড়ার আগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সেনা ফেরত আনার প্রক্রিয়ার অংশ এটি। তিনি এর আগে আফগানিস্তান ও ইরাক থেকে সেনা ফেরত আনার নির্দেশ দেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সোমালিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৭০০ সেনা রয়েছে। এ সেনারা স্থানীয় বাহিনীকে আল–কায়েদার সঙ্গে যুক্ত আল–শাবাব বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইতে সহায়তা করে। মিশনটির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ বরাবরই কম লক্ষ করা গেছে। তবে পেন্টাগন একে আল–কায়েদার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ের প্রচেষ্টার ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সোমালিয়া থেকে মার্কিন সেনা সরে গেলে সেখানকার নিরাপত্তাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

পেন্টাগন এক বিবৃতিতে বলেছে, সেনা সরিয়ে নেওয়া হলেও যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে পরিবর্তন আসবে না।

শুক্রবার পেন্টাগনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কিছু সেনা প্রতিবেশী দেশগুলোতে যুক্ত করা, তবে ঠিক কতজন সেনা ওই অঞ্চল পুরোপুরি ছেড়ে যাবে, তা বলা হয়নি।

বিবৃতিতে বলা হয়, আফ্রিকা থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে আসেনি বা ছাড়ছে না। আমরা আফ্রিকার সহযোগীদের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সম্পূর্ণ সরকারি পদ্ধতির মাধ্যমে সমর্থন চালিয়ে যাব।

প্রায় এক মাস আগে আল–সাবাবের এক বোমা প্রস্তুতকারীকে ধরার ব্যর্থ অভিযানে এক সিআইএ কর্মকর্তা নিহত হন। এরপরই সোমালিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের এ ঘোষণা এল। তবে বিশ্লেষকেরা এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য হিসেবে আমেরিকার অন্তহীন যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য প্রতিশ্রুতি পূরণের প্রচার বিষয়টিকেই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন।