৩৩ কোটি ডলারে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে ছাড় পাচ্ছে সুদান

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও আবদাল্লা হামদক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সন্ত্রাসী দেশের মদদদাতাদের তালিকা থেকে সুদানকে বাদ দেওয়া হবে। তবে এ জন্য দেশটিকে সাড়ে ৩৩ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

বিবিসির আজ মঙ্গলবারের খবরে জানা যায়, সুদানের প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদক বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অর্থ হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি।

১৯৯৩ সাল থেকে সুদান সন্ত্রাসী মদদদাতা দেশের তালিকাভুক্ত। ওই সময় আল–কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন দেশটিতে সরকারের অতিথি হিসেবে ছিলেন। আফ্রিকায় মার্কিন দূতাবাসগুলোয় ১৯৯৮ সালে আল–কায়েদার বোমা হামলার ঘটনার সঙ্গে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি জড়িত।

ট্রাম্প বলেছেন, তানজানিয়া ও কেনিয়ায় আল–কায়েদা পরিচালিত হামলাগুলোয় ২২০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ওই অর্থ ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হবে।

গত বছর প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ওমর আল বশিরের অপসারণের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও সুদানের মধ্যকার সম্পর্কে উন্নতি হয়। ৩০ বছর ধরে সুদানের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন বশির।

বিবিসির খবরে জানানো হয়, সন্ত্রাসী দেশের মদদদাতা হিসেবে কালো তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার খবর সুদানের জন্য খুবই আনন্দের। দেশটিতে খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের দাম বেড়েছে চলেছে। এগুলোর অভাবও রয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটে জানান, ‘সুখবর! সুদানের নতুন সরকার সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিনদের ৩৩ কোটি ডলার দিতে রাজি হয়েছে। নতুন সরকার সুদানের উন্নয়নে কাজ করছে। অর্থ জমা হলে সন্ত্রাসের মদদদাতা দেশের তালিকা থেকে সুদানকে বাদ দেব। শেষ পর্যন্ত মার্কিনরা সুবিচার পেল এবং সুদান বড় পদক্ষেপ নিল।’

সন্ত্রাসী মদদদাতা দেশের তালিকায় সুদানের সঙ্গে রয়েছে ইরান, উত্তর কোরিয়া ও সিরিয়া।

ট্রাম্পের টুইটের কিছুক্ষণ পরেই সুদানের প্রেসিডেন্ট হামদক দেশটির সরকারি টিভিকে জানান, অর্থ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।