৭৮ হাজার বছরের পুরোনো কবর

কেনিয়ার উপকূলে পাওয়া দেহাবশেষ
ছবি: এএফপি

কেনিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে একটি কবরের সন্ধান মিলেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই কবরের বয়স ৭৮ হাজার বছর। গতকাল বুধবার গবেষণায় পাওয়া এ তথ্য জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

গবেষকেরা বলেছেন, আফ্রিকার সবচেয়ে পুরোনো মানব সমাধি এটি। ওই কবরের একটি বর্ণনা দিয়েছেন গবেষকেরা। তাঁরা বলেন, যে শিশুটির দেহাবশেষ পাওয়া গেছে তার বয়স তিন বছরের বেশি নয়। তার মাথা একটি আবরণে মোড়ানো ছিল। এ ছাড়া ধারণা করা হচ্ছে, তার মাথার নিচে বালিশও ছিল।

এ গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে নেচার সাময়িকীতে। এতে বলা হয়েছে, কেনিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলের একটি গুহায় থাকা একটি গর্তের ভেতরে ছিল দেহাবশেষ। প্রস্তর যুগের সর্বশেষ আবিষ্কৃত কবর বলা হচ্ছে একে। কবরের মাটিতে খোদাই করা নানা রঙের কিছু বস্তু ও অলংকার পাওয়া গেছে।

গবেষণার অন্যতম প্রধান লেখক ও স্পেনের ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার অন হিউম্যান ইভোল্যুশনের পরিচালক মারিয়া মারতিনন-তোরেস বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটি যে সম্প্রদায়ের তারা মৃতের সৎকারে বেশ কিছু আচার-অনুষ্ঠান পালন করত। অভূতপূর্ব এই আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে আফ্রিকার অতীত ও বর্তমানের সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্যে যে পার্থক্য, তা ফুটে উঠেছে।

শিশুটির দেহাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল কেনিয়ার পাঙ্গা ইয়া সাইদি গুহা থেকে, ২০১৩ সালে। এ প্রসঙ্গে কেনিয়ার জাতীয় জাদুঘরের ইমানুয়েল এনদিয়েমা বলেন, ‘ওই সময় আমরা জানতাম না আমরা কী পেয়েছি। এই হাড়গুলো শুধুই গবেষণার জন্য ব্যবহারযোগ্য ছিল।’

কেনিয়ার ওই উপকূল থেকে হাড়গুলো প্রথমে জাদুঘরে নেওয়া হয়। তারপর সেগুলো পাঠানো হয় স্পেনে। মারতিনন-তোরেস বলেন, ‘আমরা প্রথমে মাথার খুলি ও মুখমণ্ডল নিয়ে কাজ করি। দেখা যায়, মেরুদণ্ড ও পাঁজরের বক্তৃতাটিও আশ্চর্যজনকভাবে ভালোভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। এমনকি বুকের হাড়গোড়ও ভালোভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছিল।’