আফগানিস্তানের সব প্রদেশেই আইএসের তৎপরতা: জাতিসংঘ

সম্প্রতি আফগানিস্তানের বিভিন্ন স্থানে আইএস-কে হামলা চালায়, এতে হতাহত হন অনেকেই
ফাইল ছবি: রয়টার্স

আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের সব কটিতেই ইসলামিক স্টেটের (আইএস-কে) উপস্থিতি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘের দূত। আগস্টে তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর গত বুধবার আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে জাতিসংঘের বিশেষ দূত দেবোরাহ লায়ন এ কথা বলেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

আফগানিস্তানে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি দেবোরাহ লায়ন নিরাপত্তা কাউন্সিলকে বলেছেন, আইএসের আফগানিস্তান শাখা ইসলামিক স্টেট খোরাসান (আইএস-কে) তাদের বিস্তার বাড়াচ্ছে। তিনি বলেছেন, দেশটিতে সন্দেহভাজন আইএস-কে যোদ্ধাদের মাধ্যমে বিচারবহির্ভূত আটক ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বেড়েছে। বিষয়টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও নজরদারির দাবি রাখে।

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে শিয়া মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকায় দুটি বিস্ফোরণে অন্তত একজন নিহত ও ছয়জন আহত হওয়ার ঘটনার দায় আইএস-কে স্বীকার করার পর দেবোরাহ লায়ন এমন কথা জানালেন। তিনি আরও বলেছেন, দেশটিতে আইএস-কের উত্থান ঠেকাতে তালেবান ব্যর্থ হয়েছে।

দেবোরাহ লায়ন বলেছেন, একসময় রাজধানী কাবুলসহ কয়েকটি প্রদেশে সশস্ত্র সংগঠনটির তৎপরতা সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন মনে হচ্ছে প্রায় সব কটি প্রদেশেই আইএস-কের উত্থান ঘটেছে। ২০২০ সালে আফগানিস্তানজুড়ে ৬০টি হামলা হলেও চলতি বছরে ৩৩৪টি হামলা চালিয়েছে তারা।

গত আগস্টে ২০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বিদেশি সেনারা আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার পর দেশটিতে তালেবান সরকার গঠন করেছে। তারা সমাজের বিভিন্ন শাখার প্রতিনিধিদের বাদ দিয়েই সরকার পরিচালনা করছে। এ ছাড়া নারী ও মেয়েদের অধিকারও হ্রাস করেছে তালেবান।

দেবোরাহ লায়ন বলেছেন, আফগানিস্তানে জাতিসংঘের মিশন নিয়মিতভাবে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে সাবেক নিরাপত্তাকর্মী ও কর্মকর্তাদের ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা’র নির্ভরযোগ্য অভিযোগ পাচ্ছে। এমন অবস্থায় শীতে দেশটি অর্থনৈতিক সংকট এবং খরার মুখে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের এই বিশেষ দূত।