আফগানিস্তান ছেড়েছে রোবট নির্মাতা ছাত্রীরাও

রোবট তৈরিতে ব্যস্ত আফগান রোবোটিকস দলের মেয়েরা।
ছবি: এএফপি

আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে চলে যাওয়ার পর দেশটির নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে। দেশ ছাড়তে কাবুল বিমানবন্দরে মানুষের ঢল। এই পরিস্থিতিতে জানা গেল দেশটির সম্ভাবনাময় রোবোটিকস দলের নয় ছাত্রীর সবাই আফগানিস্তান ছেড়েছে। তাদের নতুন আশ্রয়স্থল এখন কাতার। ওই ছাত্রীরা নিরাপদে রাজধানী দোহায় পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত করেছে রোবোটিক দলের মূল সংগঠন।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই উদীয়মান রোবট বিজ্ঞানীদের আফগানিস্তান থেকে বের করতে আনতে সব ধরনের ব্যবস্থা করে কাতার সরকার। তারা মেয়েদের ভিসা প্রদান ও তাদের আনতে উড়োজাহাজ পাঠায়। তবে কবে ওই মেয়েদের আফগানিস্তান থেকে কাতারে আনা হয়েছে তার তারিখ জানানো হয়নি।

২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে একটি রোবোটিকস প্রতিযোগিতায় সুনাম কুড়ায় আফগান মেয়েদের ওই রোবোটিকস দলটি। প্রতিযোগিতায় বিশেষ পুরস্কারও জিতে নেয় দলটি। তখন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ঘটনাটি ফলাও করে প্রকাশ করা হয়েছিল। আফগানিস্তানে নারী শিক্ষায় ওই ছাত্রীদের আলোকবর্তিকা হিসেবে দেখা হয় । ওই রোবোটিকস দলের মেয়েদের বয়স ১৫ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে। তাদের সঙ্গে দেশত্যাগ করেছেন তাদের ২৫ বছর বয়সী এক শিক্ষকও।

এক বিবৃতিতে রোবোটিকস দলের মূল সংগঠন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ডিজিটাল সিটিজেন ফান্ড (ডিসিএফ) বলেছে, তালেবানের কাবুল নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার তিন দিন আগে গত ১২ আগস্ট তারা মেয়েদের জন্য সাহায্য চেয়ে কাতারকে অনুরোধ করে। মেয়েদের সবার জন্ম আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হেরাতে।

ডিসিএফের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এলিজাবেথ এস ব্রাউন বিবিসিকে বলেছেন, ‘যখন আমরা শুনলাম, কাবুলের পতন হচ্ছে, তখন আমরা (কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের) সঙ্গে যোগাযোগ করি। তাদের (মেয়েদের) বের করে আনতে তারা (কাতার সরকার) দ্রুত ভিসা করার কাজ শুরু করে। তারা মেয়েদের বেশ ভালোভাবেই রেখেছে।’

ব্রাউন আরও বলেছেন, মেয়েদের উদ্ধার করা হয়নি। তারা নিজেদের যোগ্যতায় নতুন স্থানের সন্ধান করে নিয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে মেয়েরা যে কঠোর পরিশ্রম ও সাহস দেখিয়েছি, তার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে।

মেয়েরা এখন কাতারের দোহাতেই থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে পড়ালেখা অব্যাহত রাখার জন্য অন্য কোথাও যেতে পারবে।