ইসরায়েলে করোনার টিকার চতুর্থ ডোজ অনুমোদন

ইসরায়েলে এক ব্যক্তিকে পরীক্ষামূলকভাবে করোনার টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়া হচ্ছে
ছবি: রয়টার্স

করোনার অতি সংক্রামক অমিক্রন ধরনের সংক্রমণ মোকাবিলায় দুর্বল রোগ প্রতিরোধক্ষমতাসম্পন্ন মানুষের জন্য চতুর্থ ডোজ টিকা অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ অনুমোদন দেয়। খবর এএফপির।

ইসরায়েলে নতুন করে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। সংক্রমণ বাড়ার জন্য অমিক্রনকে দায়ী করা হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে চতুর্থ ডোজ টিকার অনুমোদন দিল ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক নাচম্যান অ্যাশ সাংবাদিকদের বলেন, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম—এমন লোকদের জন্য তিনি চতুর্থ ডোজ টিকার অনুমোদন দিয়েছেন।

অ্যাশ আরও বলেন, টিকার চতুর্থ ডোজ ভালো কাজ করে বলে গবেষণায় দেখা গেছে। কম রোগ প্রতিরোধক্ষমতাসম্পন্ন মানুষেরা অমিক্রনে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ আশঙ্কা থেকে গবেষণার আলোকে টিকার চতুর্থ ডোজ ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

অনুমোদনের আগে চতুর্থ ডোজ পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করে ইসরায়েল। ১৫০ স্বাস্থ্যকর্মীকে পরীক্ষামূলকভাবে এ টিকা দেওয়া হয়।
গতকাল ইসরায়েলের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, এদিন চার হাজারের বেশি মানুষের নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ইসরায়েলে গত সেপ্টেম্বরের পর এক দিনে এত বেশিসংখ্যক মানুষের করোনা আর শনাক্ত হয়নি।

ইসরায়েলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিৎজান হরোইৎজ বলেন, ইসরায়েলে করোনার পঞ্চম ঢেউ চলছে। এ দফায় বেশির ভাগ মানুষই অমিক্রনে সংক্রমিত হচ্ছেন।

এদিকে ফাইজারের তৈরি করোনা প্রতিরোধী বড়ির প্রথম চালান ইসরায়েলে পৌঁছেছে। স্থানীয় সময় গতকাল সকালে বেলজিয়াম থেকে ফাইজারের করোনার বড়ি নিয়ে একটি ফ্লাইট তেল আবিবে পৌঁছায়। এতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। তিনি এ বড়িকে মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে অভিহিত করেন।

নাফতালি বলেন, তাঁদের দ্রুত পদক্ষেপের কারণে ইসরায়েলে খুব দ্রুত ওষুধগুলো পৌঁছেছে। অমিক্রনের ঢেউ প্রতিরোধে এ ওষুধ সহায়ক হবে।

১২ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সী মানুষের মধ্যে যাঁরা উচ্চঝুঁকিতে আছেন, তাঁদের জন্য গত সপ্তাহে ফাইজারের তৈরি প্যাক্সলোভিড বড়ি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ)।

পরীক্ষামূলক প্রয়োগে দেখা গেছে, এ ওষুধ ব্যবহার করা হলে রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি কমে। এ ছাড়া উচ্চঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের মৃত্যুর ঝুঁকি ৮৮ শতাংশ কমে।

ইসরায়েলের ৯৪ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ৪২ লাখ করোনার তৃতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন।