উত্তর কোরিয়ার দৃষ্টিতে ইউক্রেন সংকটের মূলে রয়েছে...

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উত্তর কোরিয়ার গুটিকয়েক ‘বন্ধু’ রয়েছে
ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেন সংকটের মূল কারণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে চিহ্নিত করেছে উত্তর কোরিয়া। আজ রোববার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়ে উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে এই প্রথম কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য এল।

ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন নিয়ে পশ্চিমারা মস্কোর সমালোচনায় মুখর। একই সঙ্গে তারা দেশটির ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে ইউক্রেন সংকটের জন্য ওয়াশিংটনকে দোষারোপ করল পিয়ংইয়ং।

আরও পড়ুন

উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ইউক্রেন ইস্যুতে একটি ‘ভাষ্য’ পোস্ট করা হয়েছে। জনৈক রি জি সংয়ের নামে লেখা ভাষ্যটিতে বলা হয়, এ বিপর্যয়ের জন্য দায়ী যুক্তরাষ্ট্র।

শনিবার পোস্ট করা ভাষ্য অনুযায়ী, রাশিয়ার নিরাপত্তাসংক্রান্ত বৈধ দাবিকে উপেক্ষা করে সামরিক আধিপত্যের চেষ্টা করেছে ওয়াশিংটন।

ভাষ্যটিতে বলা হয়, ইউক্রেন সংকটের মূল কারণটিও যুক্তরাষ্ট্রের উচ্ছৃঙ্খলতা ও স্বেচ্ছাচারিতার মধ্যে নিহিত রয়েছে।

নর্থস সোসাইটি ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিটিকস স্টাডির গবেষক রি জি সংয়ের নামে প্রকাশ করা ভাষ্য ‘ডবল স্ট্যান্ডার্ড’ ভূমিকা বজায় রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করা হয়।

ভাষ্যে বলা হয়, শান্তি ও স্থিতিশীলতার নামে অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করেছে। অথচ তারাই আবার অন্য দেশগুলোর নেওয়া কোনো সংগত আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপের নিন্দা করে।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উত্তর কোরিয়ার গুটিকয়েক ‘বন্ধু’ রয়েছে। তাদের মধ্যে বেইজিং ও মস্কো অন্যতম। তাদের অতীতে উত্তর কোরিয়ার সরকারকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসতে দেখা গেছে।

ইউক্রেন ইস্যুতে সম্প্রতি চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানির অভিযোগ আনে।

গত বৃহস্পতিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে কমপক্ষে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের এক হাজার টন অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাঠিয়েছে। তাই এ উত্তেজনার জন্য যে দায়ী, তার এখন ভেবে দেখা উচিত, অন্যদের দোষারোপ না করে কীভাবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের মাধ্যমে এ আগুন নেভানো যায়।

অপর দিকে মস্কোতে অবস্থিত চীনা দূতাবাস এক টুইটার পোস্টে বলেছে, বিশ্বের জন্য আসল হুমকি যুক্তরাষ্ট্র। এ কথা সবাইকে মনে রাখতে হবে।

পশ্চিমাদের কয়েক সপ্তাহের হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর নির্দেশের পরই তিন দিক থেকে ইউক্রেনে হামলা শুরু করেন রুশ সেনারা।

আজ চতুর্থ দিনের মতো রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের শহরগুলোতে হামলা অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া। ইউক্রেনে হামলার জেরে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ দেশটির সামরিক-বেসামরিক ব্যক্তি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ অব্যাহত রেখেছে।