এ বছর খুলবে না নিউজিল্যান্ডের সীমান্ত: আরডার্ন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় যে দেশগুলো সফল, তাদের মধ্যে অন্যতম নিউজিল্যান্ড। দেশটিতে সংক্রমণ প্রায় শূন্যের কোটায়। এরপরও দেশটির সীমান্ত খুলছে না। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন বলেছেন, চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত দেশটির সীমান্ত বন্ধ থাকবে। আজ বৃহস্পতিবার এ কথা বলেছেন তিনি। আগামী বছর সীমান্ত খুলে দেওয়া হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, আরডার্ন বলেন, আগামী বছর দেশটির সীমান্ত খুলে দেওয়া হলেও সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। তিনি বলেন, সীমান্ত খুলে দিলে কী পরিস্থিতি হয় তা ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশ প্রত্যক্ষ করছে। এ প্রসঙ্গে করোনাভাইরাসের ডেলটা ধরনের প্রসঙ্গ তুলে এসেছেন তিনি। আরডার্ন বলেন, ডেলটার মতো কোনো অধিক সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন ধরন যাতে ঢুকতে না পারে, সে জন্য সতর্ক অবস্থান নেওয়া হবে।
নিউজিল্যান্ডের স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ শূন্যের কোটায় নেমে যাওয়ার সেখান জীবনযাপন স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ অস্ট্রেলিয়ায় ডেলটা ভেরিয়েন্টের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় দেশটির বড় দুটি শহরে লকডাউন জারি করতে হয়েছে। এই বিষয়টিও সামনে এনেছেন আরডার্ন।
করোনাভাইরাসের সার্বক্ষণিক তথ্য সরবরাহকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারসের দেওয়া তথ্য অনুসারে দেশটিতে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৯১৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আর সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৮৪৪ জন। আর মারা গেছেন ২৬ জন। ৫০ লাখ মানুষের দেশে করোনার মহামারিতে এত কম মানুষের মৃত্যু হওয়ায় প্রশংসা কুড়িয়েছেন আরডার্ন। তবে এরপরও আরডার্ন বলেন, ‘আমরা এখনোই সবকিছু খুলে দিচ্ছি না।’
এ ছাড়া দেশটির টিকা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন আরডার্ন। তিনি বলেন, যাঁরা টিকা পাওয়ার যোগ্য, এই বছরের শেষ দিকে তাঁদের টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এরপর সীমান্ত খোলার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে এ ক্ষেত্রে এখন থেকেই শর্ত দিয়েছেন রেখেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা শেষ লক্ষ্য হলো টিকা গ্রহণকারীদের ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টিন ব্যতীত ভ্রমণের ব্যবস্থা করা।’ তবে এ ক্ষেত্রে কোনো সময়সীমা উল্লেখ করেননি তিনি।
আরডার্ন বলেন, করোনার মহামারি পরবর্তী ভ্রমণ আর আগের মতো থাকবে না।