কাবুলে গুরুদুয়ারায় বিস্ফোরণে হতাহতের শঙ্কা

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আফগানিস্তানে একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সড়কে তালেবান নিরাপত্তা বাহিনীর টহল
ফাইল ছবি: রয়টার্স

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে শিখদের উপাসনালয় গুরুদুয়ারায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার সকালে এ বিস্ফোরণ হয় বলে গুরুদুয়ারার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে কতজন হতাহত হয়েছেন, তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
এদিকে সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সকালে কাবুলের একটি গুরুদুয়ারার কাছে দুটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় একাধিক গুলির শব্দও শোনা যায়। গুরুদুয়ারায় ওই সময় ১৬ জন পুণ্যার্থী ছিলেন। তবে হতাহত হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট নয়।

গুরুদুয়ারার কর্মকর্তা গুরনাম সিং রয়টার্সকে বলেন, ‘গুরুদুয়ারায় প্রায় ৩০ জন ছিলেন। আমরা জানি না তাঁদের কতজন বেঁচে আছেন আর কতজন মৃত। তালেবান আমাদের ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে না। আমরা বুঝতে পারছি না কী করব।’
তালেবান কর্মকর্তারা বিস্ফোরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেননি। কারা এ হামলা চালিয়েছে, তাৎক্ষণিক তা জানা যায়নি।

স্থানীয় টোলো নিউজের প্রচারিত একটি ভিডিও ফুটেজে ওই এলাকা থেকে কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। টুইটে আফগান সংবাদমাধ্যমটি আরও বলেছে, কাবুলের কারতে পারওয়ান এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। হামলার ধরন ও হতাহত হওয়ার বিষয়টি এখনো জানা যায়নি।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘শহরের একটি পবিত্র গুরুদুয়ারায় হামলার যে খবর কাবুল থেকে আসছে, তাতে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। আমরা নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সৃষ্ট এ পরিস্থিতির বিস্তারিত জানতে অপেক্ষায় আছি।’

আগস্টে ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে দেশে নিরাপত্তা ফেরানোর দাবি করেছে তালেবান। তবে দেশটিতে এখনো জঙ্গিবাদের উত্থানের আশঙ্কা রয়ে গেছে বলছেন আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর কর্মকর্তা ও বিশ্লেষকেরা। সাম্প্রতিক মাসগুলোয় একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। কিছু হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট।

মুসলিম–অধ্যুষিত আফগানিস্তানে সংখ্যালঘু শিখ সম্প্রদায়ের লোকজনের সংখ্যা খুবই কম। তালেবান আবার দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগে প্রায় ৩০০টি পরিবারের বসবাস ছিল। তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর অনেকেই দেশটি ছেড়ে যান বলে এই সম্প্রদায়ের লোকজনের পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।