কাবুলে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের সামনে আফগান নারী অধিকারকর্মীরা আজ শুক্রবার বিক্ষোভ করেছেন। তাঁরা নারীদের শিক্ষাসহ নানা অর্জন রক্ষার জন্য তালেবানের প্রতি দাবি জানান।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ কাবুলে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বাইরে নারীরা বিক্ষোভ করেন।
তালেবানের শাসনে তাদের অবস্থা কী হবে, তা নিয়ে নারীরা উদ্বেগ জানিয়ে আসছিলেন। এর মধ্যে জাতিসংঘ তালেবানের হাতে নারী নিপীড়নের খবর সামনে এনেছে। নারীদের চলাফেরায় বিধিনিষেধের বিষয়টি উল্লেখ করেছে তারা।
এর আগে তালেবান যখন ক্ষমতায় ছিল, সেই সময় নারীদের বোরকা পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। ১০ বছর ও তার বেশি বয়সী মেয়েদের স্কুলে যাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছিল তারা।
এবার তালেবান বলেছে, শরিয়াহ অনুযায়ী দেশ শাসন করবে তারা। তবে বাস্তবে কেমন হবে, তা স্পষ্ট করা হয়নি। গত মাসে কাবুল দখলের পর তালেবানের পক্ষ থেকে নারীদের ঘরে থাকতে বলা হয়। এর পক্ষে যুক্তি হিসেবে তারা বলেছিল, নবীন তালেবান সদস্যদের এখনো নারীদের সঙ্গে আচরণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। তাই নিজেদের নিরাপত্তার জন্যই নারীদের ঘরে থাকা ভালো।
গত রোববার তালেবানের ভারপ্রাপ্ত উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী আবদুল বাকি হাক্কানি জানান, আফগান নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করার অনুমতি দেওয়া হলেও শরিয়াহ আইন অনুযায়ী মিশ্র ক্লাস নিষিদ্ধ হবে। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেমেয়ে একসঙ্গে পড়তে বা ক্লাস করতে পারবে না।
আবদুল বাকি হাক্কানি বলেন, আফগানিস্তানের মানুষ শরিয়াহ আইনের আলোকে মিশ্র নরনারীর পরিবেশ ছাড়া নিরাপদে তাদের উচ্চশিক্ষা অব্যাহত রাখতে পারবেন।
আফগানিস্তানে নারীর অধিকারের ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে, তার প্রতি শ্রদ্ধা দেখাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তালেবান। তবে এ ক্ষেত্রে তালেবান শর্ত দিয়েছে যে তাদের প্রবর্তিত ইসলামি আইন অনুযায়ী সবকিছু করা হবে।