গাঁজার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডবাসী

নিউজিল্যান্ডে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়
ছবি: রয়টার্স

নিউজিল্যান্ডে বিনোদনের জন্য গাঁজা বৈধ করতে গণভোট হয়েছিল। কিন্তু তাতে ইতিবাচক সাড়া দেননি নিউজিল্যান্ডবাসী। এখন পর্যন্ত যে ফলাফল পাওয়া গেছে তাতে নিউজিল্যান্ডে গাঁজা বৈধকরণ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হতে যাচ্ছে। কানাডা ও উরুগুয়েতে আগে এ ধরনের প্রস্তাব পাস হলেও নিউজিল্যান্ডবাসী এর পক্ষে নন। তবে নিউজিল্যান্ডবাসী স্বেচ্ছামৃত্যুর পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

ইউথেনেসা বা স্বেচ্ছামৃত্য হলো ব্যথা এবং যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে ইচ্ছাকৃতভাবে একটি জীবন শেষ করে দেওয়ার অধিকার। বিভিন্ন দেশে স্বেচ্ছামৃত্যুর বিভিন্ন আইন রয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গাঁজা এবং স্বেচ্ছামৃত্যুরে বৈধতা দেওয়ার জন্য এ সপ্তাহে নিউজিল্যান্ডের গণভোটের ফলাফল প্রকাশিত হবে। যদি স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকার গণভোটে পাস হয়, তবে আগামী বছরের অক্টোবর থেকে তা কার্যকর হবে।

নিউজিল্যান্ডের নির্বাচন কমিশন গত শুক্রবার ঘোষণা দিয়ে বলেছে, ৫৩ দশমিক ১ শতাংশ ভোটার গাঁজা বৈধকরণের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। এর পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৪৬ শতাংশ। অর্থাৎ গাঁজা বৈধকরণের বিপক্ষে ভোট পড়েছে ১২ লাখ ৮১ হাজার ৮১৮ ভোট আর পক্ষে পড়েছে ১১ লাখ ১৪ হাজার ৪৮৩ ভোট।

৬ নভেম্বর নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হবে। চূড়ান্ত ফল ঘোষণার আগে আরও ৪ লাখ ৮০ হাজার বিশেষ ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে। এগুলোর মধ্যে বিদেশে থাকা ভোটার, জেলখানার ভোটার ও শিক্ষার্থীদের ভোট রয়েছে। নিউজিল্যান্ডের বিচারমন্ত্রী অ্যান্ড্রু লিটল অবশ্য দাবি করেছেন, বাকি ১৭ শতাংশ ভোট চূড়ান্ত ভোটে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। ওই ভোটে গাঁজা বৈধ করতে হলে ৭০ শতাংশ ইয়েস ভোট হতে হবে। এ থেকে বোঝা যায় নির্বাচন কমিশন গাঁজা সেবনে বৈধতা দেবে না।

অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড ব্যাপকভাবে স্বেচ্ছামৃত্যুর পক্ষে ভোট দিয়েছে। একই গণভোটে ৬২ শতাংশ ভোটারই পক্ষে সিল মেরেছেন। বিশ্বে সপ্তম দেশ হিসেবে স্বেচ্ছামৃত্যু নিউজিল্যান্ডে বৈধ হয়ে যাবে।
ক্যানাবিস লিগালাইজেশন অ্যান্ড কন্ট্রোল বিলটি পাস হলে ২০ বছরের ঊর্ধ্ব বয়সীরা বিনোদনের জন্য লাইসেন্স করা দোকান থেকে তা কেনার সুযোগ পেতেন।

এর আগে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা বলেছিলেন, তিনি গাঁজার ব্যবহার ও স্বেচ্ছামৃত্যুর পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন।