জাপানি রাজকুমারীর ‘শেষ জন্মদিন’

রাজকুমারী মাকো। ছবি: রয়টার্স

ভালোবাসার মানুষ কোমুরোকে বিয়ের জন্য রাজকীয় মর্যাদা ছাড়বেন বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছেন জাপানি রাজকুমারী মাকো। আগামী মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে সে বিয়ে। তার আগেই আরেকটি জন্মবার্ষিকীর ক্ষণ চলে এল। আজ শনিবার ৩০তম জন্মদিন উদ্‌যাপন করছেন মাকো। পদবি হারানোর আগে জাপানি রাজকুমারী হিসেবে এটিই তাঁর শেষ জন্মদিন উদ্‌যাপন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেই কোমুরো ও মাকোর বিয়ের এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা বাকি। জাপানের রাজপ্রথা অনুসারে, সাধারণ পরিবারের সন্তান কোমুরোকে বিয়ের পর রাজকুমারী তাঁর রাজপদবি ও মর্যাদা হারাবেন।

ছোট বোনের সঙ্গে গল্প করছেন মাকো।
ছবি: রয়টার্স

জাপানের রাজপরিবার সংশ্লিষ্ট বিষয়ের দায়িত্বে থাকা সরকারি সংস্থা ইমপিরিয়াল হাউজহোল্ড এজেন্সি জন্মদিনে মাকোর কিছু ছবি প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা গেছে, রাজপ্রাসাদ প্রাঙ্গণে ছোট বোনের সঙ্গে হাঁটছেন রাজকুমারী মাকো। তবে জন্মদিন উদ্‌যাপন নিয়ে তাঁর কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

মাকো ও কেই কোমুরোর প্রথম দেখা ২০১২ সালে। ওই সময় তাঁরা টোকিওতে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিশ্চিয়ান ইউনিভার্সিটিতে পড়ছিলেন। একসঙ্গে পড়াশোনা করার সুবাদে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৭ সালে তাঁদের বাগদান হয়। এ বছরের ২৬ অক্টোবর বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। জাপানের আইন অনুসারে, রাজপরিবারের কোনো নারী যদি বাইরের সাধারণ কাউকে বিয়ে করেন, তবে তিনি রাজকীয় মর্যাদা হারান। তবে পুরুষ সদস্যের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। বর্তমানে কোমুরো যুক্তরাষ্ট্রে আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন। বিয়ের পর এই দম্পতি সেদেশেই চলে যাবেন বলে জানা গেছে।

ছোট বোনকে সঙ্গে নিয়ে প্রাসাদ প্রাঙ্গণে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মাকো
ছবি: রয়টার্স

প্রথমে এই জুটির বিয়ের সময় ঠিক করা হয়েছিল ২০১৮ সালে। কিন্তু কোমুরোর পরিবারে ওই সময় আর্থিক সমস্যায় থাকায় বিয়ের আয়োজন করা হয়নি। গুঞ্জন রটে, কোমুরোর মা তাঁর সাবেক প্রেমিকের কাছ থেকে অর্থ ধার করে তা ফেরত দেননি। রাজপরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ে বন্ধ করার ক্ষেত্রে এ ঘটনার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করা হয়। তবে রাজকুমারী মাকোর বাবা যুবরাজ ফুমিহিতো বলেছিলেন, বিয়ের আগে অবশ্যই অর্থের বিষয়টি মিটিয়ে ফেলতে হবে।

রাজকুমারী মাকো রাজপদবি হারানোর পর ঐতিহ্য অনুযায়ী ১৩ লাখ মার্কিন ডলার পাবেন। তিনি যদি এই পারিবারিক অর্থ না নেন তবে রাজপরিবারের তিনিই হবেন একমাত্র সদস্য, যিনি পুরোপুরি রাজকীয় সম্পর্ক ছিন্ন করছেন।