জাপানে ২০২১ সালে ১২২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম শিশুর জন্ম

জাপানের জনসংখ্যা ক্রমেই হ্রাস পেয়ে ২০২১ সালের শুরুতে ১২ কোটি ৬৬ লাখের কাছাকাছি দাঁড়িয়েছেফাইল ছবি: রয়টার্স

জাপানে জনসংখ্যা হ্রাস পাওয়া নতুন কোনো খবর নয়। দেশটির জনসংখ্যা ক্রমেই হ্রাস পেয়ে ২০২১ সালের শুরুতে ১২ কোটি ৬৬ লাখের কাছাকাছি দাঁড়িয়েছে। গত বছর জাপানে ৮ লাখ ১১ হাজার ৬০৪ শিশুর জন্ম হয়েছে। এক বছরে শিশু জন্মের দিক দিয়ে এই সংখ্যা গত ১২২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। আজ শুক্রবার জাপান সরকারের প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।

জনসংখ্যার ক্রমাগত পতনে উদ্বিগ্ন জাপান সরকার। বিবাহিত দম্পতিদের বেশি সন্তান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। একই সঙ্গে শিশু পরিচর্যা ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাও দেওয়া হচ্ছে। এরপরও ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যায়নি।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১ সালে জাপানে জন্ম নেওয়া শিশুর সংখ্যা আগের বছরের চেয়ে ২৯ হাজার ২৩১টি কম। এর আগে ১৮৯৯ সালে দেশটিতে ২০২১ সালের চেয়ে কম শিশুর জন্ম হয়েছিল। সে বছরই জাপানে প্রথম শিশুর জন্মসংক্রান্ত উপাত্ত সংগ্রহ শুরু করেছিল দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

শিশু জন্মের পাশাপাশি নানা তথ্য তুলে ধরা হয়েছে সরকারের পরিসংখ্যানে। সেখানে দেখা গেছে, ২০২১ সালে গড়ে একজন নারীর জীবদ্দশায় জন্ম দেওয়া শিশুর সংখ্যা ১ দশমিক ৩০। এক বছর আগের চেয়ে এই গড় শূন্য দশমিক ৩০ পয়েন্ট কম।

অপর দিকে ২০২১ সালে বিয়ের ক্ষেত্রেও নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। গত বছর জাপানে ৫ লাখ ১ হাজার ১১৬টি বিয়ে নথিবদ্ধ হয়েছে। জাপানে করোনা মহামারি শুরুর আগে ২০১৯ সালের চেয়ে এই সংখ্যা প্রায় ১ লাখ কম। দেশটির স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয় বলছে, ২০২১ সালে বিয়ের এই হিসাব দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে কম।

কয়েকজন বিশেষজ্ঞের মতে, ২০২১ সালের হিসাবকে সার্বিক প্রবণতা হিসেবে ধরে নেওয়া ঠিক হবে না। গত বছর অনেকটা সময়জুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার উচ্চ ছিল। মহামারির সময় অনেক কিছুই স্বাভাবিক থাকে না, যেমন বিয়ে।

তবে এসব হিসাবকে যেভাবেই দেখা হোক না কেন, জাপানের জনসংখ্যা হ্রাসের প্রবণতা বন্ধ কিংবা হ্রাস পাওয়ার স্পষ্ট কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে জাপান সরকারের জন্য এটা বাড়তি উদ্বেগ হয়ে উঠতে পারে।