তিন বছর পর উদ্ধার সিওল

দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় তিন বছর আগে ডুবে যাওয়া সিওল ফেরি গতকাল বৃহস্পতিবার সাগরতল থেকে টেনে ওপরে তোলা হয়েছে। ওই দুর্ঘটনায় তিন শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল, যাদের বেশির ভাগই ছিল স্কুলশিক্ষার্থী।
৬ হাজার ৮২৫ টন ভারী ফেরিটি সাগরতল থেকে টেনে তোলার কাজটা ছিল বেশ কঠিন। বিশাল নৌযানটি এক পাশে কাত হয়ে সাগরপৃষ্ঠের প্রায় ১৪৫ ফুট নিচে ডুবে যায়। ঘটনাস্থলের কাছাকাছি সাগর শক্তিশালী স্রোতের জন্য পরিচিত। সিওল উদ্ধারের সময় দুই ডুবুরি সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন।
ডুবুরিরা নিমজ্জিত ফেরিটিতে মোট ৩৩টি ‘লিফটিং বিম’ স্থাপন করেন। এ জন্য ওই নৌযানের নিচে মাটি খুঁড়তে হয়। তারপর দুই প্রান্তে ৬৬টি ইস্পাতের তারের সঙ্গে লিফটিং বিমগুলোকে যুক্ত করে ওপরে ভাসমান দুটি বিশাল জাহাজে যুক্ত করেন। তারপর যান্ত্রিক শক্তির সাহায্যে ধীরে ধীরে টেনে তোলা হয় ফেরিটির ধ্বংসাবশেষ। দুই সপ্তাহের মধ্যে এটিকে অন্য জাহাজে করে বন্দরে নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
সিওলের নয়জন যাত্রীর খোঁজ মেলেনি। মূলত তাঁদের দেহাবশেষ উদ্ধারের লক্ষ্যেই ফেরিটি টেনে তোলা হয়। নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবার-পরিজন এ রকমই দাবি জানিয়ে আসছিলেন। ফেরি উদ্ধারের কাজে সরকার মোট নয় কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ খরচ করেছে।
প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযানে দফায় দফায় বিঘ্ন ঘটে। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে উদ্ধারকাজ শেষ করার সময় নির্ধারণের পরও তা গতকাল পর্যন্ত গড়ায়।
সিওল নামের নৌযানটি ২০১৪ সালের ১৪ এপ্রিল ডুবে গেলে ৩০৪ জনের মৃত্যু হয়। তাদের প্রায় সবাই একটি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী। তারা দল বেঁধে বেড়াতে গিয়েছিল।