নতুন 'আতঙ্ক' খোরাসান
সিরিয়ায় জঙ্গি সংগঠন আইএসের বিরুদ্ধে সদ্য শুরু করা বিমান হামলার ঠিক আগে আগে ‘খোরাসান’ নামে এক নতুন জঙ্গি সংগঠনের খোঁজ পাওয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা বলছেন, জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার অভিজ্ঞ ও ঝানু কর্মীরাই এর সদস্য। পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য এ সংগঠনকে ভয়াবহ হুমকি বলেই বিবেচনা করা হচ্ছে। খবর ইউএসএটুডে ও এনবিসি নিউজ।
গোয়েন্দা বিশ্লেষকেরা বলছেন, খোরাসান হলো আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে যাওয়া আল-কায়েদার যোদ্ধা সদস্যদের সংগঠন। যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড বলছে, গৃহযুদ্ধে আক্রান্ত সিরিয়া এদের কাছে নিরাপদ আশ্রয়। সেখান থেকে তারা আক্রমণের পরিকল্পনা করছে। সেই সঙ্গে হামলা পরিচালনার জন্য পশ্চিমা মুসলিমদের দলে ভেড়াচ্ছে। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সিরিয়ায় আছে খোরাসান। তবে তাদের দৃষ্টি দেশের বাইরে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল কাউন্টার টেরোরিজম সেন্টারের সাবেক পরিচালক মাইকেল লেইটার বলেন, সিরিয়ায় থেকেও খোরাসান সেখানে যুদ্ধ করছে না, বরং পশ্চিমাদের দলে ভেড়াতে ব্যবহার করছে সিরিয়ার মাটি। লেইটারের মতে, মূল দলটির সদস্যসংখ্যা এক শর বেশি নয়। তাদের লক্ষ্য এক—পশ্চিমা দেশগুলোতে হামলা।
লেইটার বলেন, সিরিয়ায় সক্রিয় আল-কায়েদাসংশ্লিষ্ট সংগঠন জাবাত-আল নুসরার সঙ্গে খোরাসানের সম্পর্ক বেশ ভালো। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক জেমস ক্ল্যাপার গত সপ্তাহে বলেন, আইএসের মতোই খোরাসান যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি বড় হুমকি। ...খোরাসান ওই অঞ্চলের (সিরিয়া) চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরের জন্যই বেশি হুমকিস্বরূপ।
খোরাসানের সঙ্গে যুক্ত বলে আল-কায়েদার যেসব নেতার কথা জানা গেছে, তাঁদের মধ্যে মুহসিন আল-ফাহদির নামটিই বেশি শোনা যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার নেপথ্য নায়কদের একজন কুয়েতে জন্মগ্রহণকারী ফাহদি। যুক্তরাষ্ট্র তাঁর মাথার দাম বেঁধে দিয়েছে সত্তর লাখ ডলার।
গোয়েন্দা বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইয়েমেনভিত্তিক আল-কায়েদা ইন দ্য অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলার (একিউএপি) সঙ্গে যোগাযোগ করে খোরাসান উন্নতমানের বোমা তৈরির চষ্টা করছে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। তাদের একটি লক্ষ্য, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ভেদ করে বিস্ফোরক বহনের কৌশল রপ্ত করা।