‘নিরাপত্তার স্বার্থে নিরাপদ স্থানে’ সু চি, বলছে জান্তা

সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জ মিন তুন
ছবি: রয়টার্স

মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটির স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি কোথায় আছেন, এখনো জানা যায়নি। এ ছাড়া আটকের চার দিন পর, অর্থাৎ ৫ ফেব্রুয়ারি তাঁর দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) জানায়, তিনি ভালো আছেন। কিন্তু এ নিয়ে এত দিন মুখ খোলেনি সেনাবাহিনী। অবশেষে আজ মঙ্গলবার দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জ মিন তুন বলেন, তিনি (সু চি) ‘ভালো আছেন’ এবং ‘নিরাপদ স্থানে’ আছেন। খবর এএফপির।

মিয়ানমারে ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থান হয়। এই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত হন সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকে। আর ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেন দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং। এ ছাড়া ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয় সাবেক জেনারেল ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট মিন্ট সোয়েকে।

এই সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে উইন মিন্ট ও সু চিকে জনসম্মুখে দেখা যায়নি। এ ছাড়া তাঁদের কোথায় রাখা হয়েছে, তা–ও জানা যায়নি। সু চির দল এনএলডিও জানাতে পারেনি। আজ জ মিন তুন বলেন, ‘আমরা তাঁদের নিরাপত্তার স্বার্থেই নিরাপদ স্থানে রেখেছি। তাঁরা ভালো আছেন।’

সু চি ও উইন মিন্টের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন জ মিন তুন। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি এমন নয় যে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা তাঁদের বাড়িতে অবস্থান করছেন।’

অং সান সু চি
ছবি: রয়টার্স

সু চিসহ রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির দাবিতে মিয়ানমারজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। এই বিক্ষোভ দমনে দেশটিতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে জান্তা। এর মধ্যে রয়েছে ফেসবুক, টুইটার বন্ধ করে দেওয়া। এরপরও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া না গেলে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া এবং রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়। এই সেবা চালু করার পর আবারও দুই দিন সারা রাত ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু এরপর বিক্ষোভ থামাতে পারছে না জান্তা। ফলে ধরপাকড় বাড়ানো হয়েছে।

মিয়ানমারের রাজনৈতিক সংকট পর্যবেক্ষক সংগঠন অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স জানিয়েছে, দেশটিতে এ পর্যন্ত ৪০০ জনের বেশি আইনপ্রণেতা, গণতন্ত্রকামী অধিকারকর্মী, সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে আরও অনেককে।