চীন ও উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান হুমকির প্রেক্ষাপটে প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করতে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। দেশকে রক্ষায় শত্রুর ঘাঁটিতে আঘাত হানার সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ ‘সম্ভাব্য সবকিছু’ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।
দুবাইভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা গতকাল শনিবার জানায়, এদিন উত্তর টোকিওর আকাসা ঘাঁটিতে সামরিক শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী। গত অক্টোবরে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই ছিল তাঁর এ ধরনের প্রথম বৈঠক। এতে জাপানের আত্মরক্ষার শক্তির দিকটি খতিয়ে দেখা হয়।
বৈঠকে ফুমিও কিশিদা বলেন, এ অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে। আর ‘বাস্তবতা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে কঠিন’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জাপানি প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের মাধ্যমে আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের সক্ষমতা বাড়িয়ে চলছে উত্তর কোরিয়া এবং চীন সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি এ অঞ্চলে নিজেদের জাহির করার কর্মকাণ্ড বাড়িয়ে চলেছে।
তথাকথিত শত্রুর ঘাঁটিতে আঘাত হানাসহ সম্ভাব্য সবকিছু করার বিষয় আমি বিবেচনায় নেব।
প্রতিরক্ষা বাজেট বৃদ্ধি
৬ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের অতিরিক্ত প্রতিরক্ষা বাজেটের অনুমোদন দিয়েছে কিশিদার মন্ত্রিসভা। গত শুক্রবার এ অনুমোদন দেওয়া হয়। অতিরিক্ত এ অর্থ ক্ষেপণাস্ত্র, ডুবোজাহাজবিধ্বংসী রকেটসহ অন্যান্য অস্ত্র কেনাকাটায় ব্যয় করা হবে। চীন, উত্তর কোরিয়াসহ রাশিয়ার সামরিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে অতিরিক্ত এ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে এ বরাদ্দে পার্লামেন্টের অনুমোদন লাগবে। সে ক্ষেত্রে দেশটির প্রতিরক্ষা বাজেট নতুন রেকর্ড গড়বে, যার আকার দাঁড়াবে ৫ লাখ ৩২ হাজার ডলারে, ২০০০ সালের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি।