ফিলিপাইনেও ভারী বৃষ্টি, বন্যা

ফিলিপাইনে ভারী বৃষ্টিতে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। রাজধানী ম্যানিলাসহ আশপাশের এলাকা প্লাবিত হয়।
ছবি: রয়টার্স

টানা কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে ভারতের মহারাষ্ট্রে ভূমিধসে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশ চীনেও ভারী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় ৩০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই অঞ্চলের আরেক দেশ ফিলিপাইনেও ভারী বৃষ্টিপাতে বন্যা দেখা দিয়েছে।

ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় বন্যায় আটকে পড়া হাজার হাজার বাসিন্দাকে ইতিমধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন পর্যন্ত রাজধানী ও এর আশপাশে বন্যাকবলিত এলাকা থেকে ১৪ হাজার ২৩ জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।  

দেশটির প্রেসিডেন্টের অফিসের মুখপাত্র হ্যারি রকুই এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের সতর্ক এবং সজাগ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে তাদের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নিজ নিজ স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতার আহ্বান থাকছে।’

সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয় হয়েছে। চীন-ভারত ছাড়াও পশ্চিম ইউরোপের কয়েকটি দেশেও ভারী বৃষ্টিতে বন্যা হয়েছে। সেখানেও শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এদিকে উত্তর আমেরিকা পুড়ছে প্রচণ্ড দাবদাহে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বীপ দেশ ফিলিপাইনে ৭ হাজার ৬০০টির বেশি দ্বীপ রয়েছে। প্রায় প্রতি গ্রীষ্মে এখানে ২০টির মতো ঝড় হয়। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, প্রশান্ত মহাসাগর উষ্ণ হলে এখানকার ঝড় আরও শক্তিশালী হবে এবং ভারী বৃষ্টিপাত ঘটবে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ইতিমধ্যে দেশজুড়ে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে ফিলিপাইন। হ্যারি রকুই বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার কর্মীরা ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার ও সড়ক মেরামতের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

ওরিয়েন্টাল মিনডোরো রাজ্যের গভর্নর হুমেরলিতো ডোলোর স্থানীয় বেতারকে বলেন, কিছু বাড়ির ছাদ পর্যন্ত বন্যার পানি উঠে গেছে।

বন্যায় আটকে পড়া হাজার হাজর মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ছবি: রয়টার্স

এর আগে আজ শনিবার ফিলিপাইনের ম্যানিলা, বাতানগাস ও এর আশপাশের শহরগুলো ৬ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

দ্য ফিলিপাইন ইনস্টিটিউট অব ভোলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি বলছে, বাতানগাস রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর কালাতাগান এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। এই রাজ্যেই একটি আগ্নেয়গিরি রয়েছে। যেটি বিস্ফোরণের আশঙ্কা করা হচ্ছে।