ফিলিপাইনের ভাইস প্রেসিডেন্টের শপথ নিলেন রদ্রিগোর মেয়ে সারা

শপথ নিচ্ছেন সারা দুতার্তে। পাশে তাঁর মা-বাবা
ছবি: এএফপি

ফিলিপাইনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন সারা দুতার্তে। তিনি দেশটির বিদায়ী প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের বড় মেয়ে। খবর বিবিসির।
স্থানীয় সময় গতকাল রোববার জন্মশহর দাভাওতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শপথ নেন সারা।

৪৪ বছর বয়সী সারা দেশটির ১৫তম ভাইস প্রেসিডেন্ট। ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে তিনি দাভাও শহরের মেয়র ছিলেন।

দুই দফায় প্রায় এক দশক দাভাও শহরের মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন সারা। পরে তিনি জাতীয় রাজনীতিতে নাম লেখান। তাঁর বাবা রদ্রিগোও একই শহরের মেয়র ছিলেন।

গত ৯ মে ফিলিপাইনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের রানিংমেট (ভাইস প্রেসিডেন্ট) হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সারা।

ফিলিপাইনে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টকে আলাদাভাবে নির্বাচিত হতে হয়। নির্বাচনে মার্কোস জুনিয়র ও সারা—দুজনই জয়লাভ করেন।

গতকাল শপথ নিলেন সারা। মার্কোস জুনিয়র শপথ নেবেন ৩০ জুন। শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে সারার বাবা রদ্রিগোর স্থলাভিষিক্ত হবেন মার্কোস জুনিয়র। ৩০ জুন মার্কোস জুনিয়র-সারা জুটির ছয় বছরের মেয়াদকাল শুরু হবে।

গতকাল শপথ গ্রহণের সময় সারার পাশে তাঁর মা–বাবা উপস্থিত ছিলেন। শপথ অনুষ্ঠানে ছিলেন মার্কোস জুনিয়রও।

শপথ গ্রহণের পর দেওয়া বক্তব্যে ফিলিপাইনকে ঐক্যবদ্ধ করার অঙ্গীকার করেছেন সারা। তিনি বলেন, ‘সামনের দিনগুলোয় হয়তো অনেক চ্যালেঞ্জ থাকবে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জাতি হিসেবে আমাদের আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

ফিলিপাইনে অপরাধ দমনের পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার প্রত্যয় নিয়ে ২০১৬ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন রদ্রিগো।

ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর ‘মাদকবিরোধী যুদ্ধ’ শুরু করলে রদ্রিগো দেশ-বিদেশে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন।

আরও পড়ুন

রদ্রিগোর সরকারের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূতভাবে সন্দেহভাজন হাজারো ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। এসব হত্যার ঘটনা তদন্ত করছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

ফিলিপাইনের সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট শুধু এক মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পারেন। তাই রদ্রিগোর দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ ছিল না।
এবারের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার শুরুতে রদ্রিগো বলেছিলেন, তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হবেন। তবে পরে তিনি তাঁর মত বদল করেন। তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দেন। তবে মেয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ায় রদ্রিগো কোনো না কোনোভাবে ক্ষমতার অংশ হিসেবে থেকেই যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন